এফডিসির সবার প্রিয় মুড়ি বিক্রেতা মোল্লা যাবে বাড়ি। বাস ভাড়া তো বটেই, দরকার গ্রামে ফিরে কর্মসংস্থানেরও। তাই মোল্লাকে ঘিরে একদল তরুণ সাংবাদিক ডাক দিলো মুড়ি উৎসবের।
সাড়া পড়েছে ব্যাপক। চলচ্চিত্রের মানুষরা মোল্লার দিকে বাড়িয়েছেন ভালোবাসার হাত। সংগ্রহ প্রায় দুই লাখ টাকা! যা এই অসহায় মানুষটির পুনর্বাসনের জন্য মন্দ নয়। এবার অপেক্ষা তার বাড়ি ফেরার...।
প্রায় ৫ দশক ধরে এফডিসিতে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন আবদুল মান্নান। বিনা-বেতনে খাদেম হিসেবে কাজ করেছেন এফডিসির মসজিদেও। সবার কাছে মোল্লা নামেই পরিচিত তিনি।
তার ঝালমুড়ির ভক্ত ছিলেন রাজ্জাক-শাবানা থেকে সাম্প্রতিক ইমন-অধরা পর্যন্ত।
শারীরিক অসুস্থতা আর সিনেমার কাজ কম হওয়ায় মোল্লার মুড়ি বিক্রি প্রায় বন্ধ। তাই ফিরতে চান নিজ বাড়িতে। এমন আগ্রহের রেশ ধরে অসহায় এই মানুষটিকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে ‘মোল্লা যাবে বাড়ি’- এই স্লোগান নিয়ে এফডিসিতে ৩ দিনের (২৯-৩১ জানুয়ারি) মুড়ি উৎসবের আয়োজন করে একদল তরুণ সাংবাদিক।
উদ্দেশ্য কিছু অর্থ সংগ্রহ করে প্রিয় মোল্লাকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানো। উৎসবে দারুণ সাড়া পড়ে। ছুটে আসেন চলচ্চিত্রের অসংখ্য মানুষ।
আয়োজকদের অন্যতম এ এইচ মুরাদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, উৎসব থেকে মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা উঠেছে। আশ্বাস দিয়েছেন আরও অনেকেই। এই টাকা দিয়ে শিগগিরই আব্দুল মান্নান মোল্লার নিজ গ্রামে (কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার মির্জাপুর) একটি দোকানঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। সেখানেই বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন রঙিন দুনিয়ার এই মানুষটি।
উৎসবটি আয়োজনের পেছনে আরও ছিলেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার ও রুহুল আমিন ভূঁইয়া। এরা সবাই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত।