X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতি ধ্বংস না করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য নতুন উপায় খোঁজার তাগিদ

বিদেশ ডেস্ক
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:২৩আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৪৮
image

সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রাকৃতিক বিশ্বের দ্রুত নিঃশেষিত হওয়ার দিকে দৃষ্টি না দিতে পারাকে অর্থনীতির ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ গবেষকরা। তারা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি এড়াতে হলে প্রকৃতি ধ্বংস না করে সমৃদ্ধির জন্য নতুন পথ খুঁজে বের করার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর মানুষের চাহিদা এবং তা মেটানোর সক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতির অর্থনৈতিক গুরুত্ব সংক্রান্ত এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এসব পরামর্শ দেন গবেষকরা।

৬০০ পৃষ্ঠার ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি ব্রিটিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতির অর্থনৈতিক গুরুত্ব সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ একটি মূল্যায়নকে প্রথমবারের মতো অনুমোদন দিয়েছে তারা। এর আগে ২০০৬ সালে জলবায়ু সংকটের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত একইরকমের একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুতে অর্থায়ন করেছিল ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রণালয়।

কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ও গবেষক অধ্যাপক পার্থ দাসগুপ্ত বলেন, সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সে বাস্তুব্যবস্থারই ‘ব্যাপক ক্ষতিসাধন’ করা হচ্ছে যা মানবজাতিকে খাদ্য, পানীয় ও বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ করে থাকে। তিনি মনে করেন, এর থেকে উত্তোরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে উৎপাদন, ভোগ, অর্থায়ন ও শিক্ষা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘের দুইটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপস্থাপিত পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাথাপিছু প্রাকৃতিক মুলধনের মজুত ৪০ শতাংশ কমেছে।

পার্থ দাসগুপ্ত বলেন, ‘প্রকৃতি হলো আমাদের ঘর। আমরা যেন এর ভালো ব্যবস্থাপনা করি সেটাই উৎকৃষ্ট অর্থনীতির দাবি। সত্যিকার অর্থে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মানে হলো এটা মেনে নেওয়া যে, প্রকৃতির কাছ থেকে আমরা যে সম্পদ ও সেবা চাইছি তা দেওয়ার সক্ষমতার মধ্যে পুন:ভারসাম্য তৈরির ওপরই নির্ভর করে দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধি। এর মানে হলো প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মিথষ্ক্রিয়ার প্রভাব কী তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব তৈরি করা। কোভিড-১৯ আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে, যে এ কাজগুলো না করলে কী হতে পারে।’

অর্থনীতিদি ডেভিড অ্যাটেনবোরো বলেন, এ পর্যালোচনাটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি এ ক্ষতিসাধন অব্যাহত রাখি তবে গোটা বাস্তুব্যবস্থা ধসে পড়বে। এটি এখন সত্যিকার ঝুঁকি। মূল্যায়ন প্রতিবেদনে সবশেষে জীববৈচিত্র্যকে (অর্থনীতির) মুল জায়গায় রেখেছে। এটি দেখিয়েছে, এবোরে শেষ মুহূর্তে হলেও আমরা কিভাবে প্রাকৃতিক বিশ্বকে রক্ষায় সহযোগিতা করতে পারি এবং এর মধ্য দিয়ে কিভাবে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পারি।’

/এফইউ/বিএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক