অবনী, ডান হাতের পাঁচ আঙুল।
পাঁচ আঙুলে বাম হাত!
আমাদের কেয়ামত ছিল একত্রিশ সেপ্টেম্বর।
পেছনে ফেরা যাবে না, পুনরাবৃত্তি নিষিদ্ধ
সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে আঙুল রেখে গুনেছিলাম
রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি।
কাঁটাতারে বাষ্প হয় মেঘের সাপ্তাহিক।
ফ্রেমে মোড়ানো প্রজাপতির মুক্তিতে
একরাশ ঝিনুক হাসি…
কবে হেসেছিলে? মনে পড়ে? মুক্তার দানার মতো আহ্লাদ।
বড়ই ভাগ্যবান, আমার বাম হাত।
বড়ই ভাগ্যবান, রাস্তার উঁচু ধার।
বড়ই ভাগ্যবান, ব্যয়িত সময়।
বড়ই ভাগ্যবান, তোমার স্বপ্ন।
যা তোমার নয়। অন্য কারো।
হঠাৎ কমে, হঠাৎ বৃদ্ধি। হঠাৎ করেই হঠাৎ হয়।
হঠাৎ সমাধী!
অবনী, অন্তত একবার ডাস্টবিনের খবর নিও।
আমি যে ডাস্টবিনের মতো!
আমার মা সংখ্যা মাত্র, আমার বাবা সংখ্যা মাত্র
আমার ভাই সংখ্যা মাত্র
আমার দেশ, আমার জীবন ও আমার তুমি
শুধুই সংখ্যা মাত্র।
আর আমি…?
ডাস্টবিনের মতো!
উত্তরবঙ্গ হতে হানিমুন, মসজিদ থেকে বাজার
বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল এবং এই নগরী…
যত্তসব কথা থাক, থাক তা ময়মনসিংহ।
সবচেয়ে কাছে; এলেঙ্গার বাসে যখন খাগড়াছড়ি।
রাত বাড়ছে, শীতেলা রাত। জহির রায়হানের সেই রাত।
ডান-বাম।
পাঠান রাজ।
খাঁ-বাড়ি।
একটা স্বপ্নের চাঁদনী রাত। সংখ্যা মাত্র এক।