জামালপুরে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এই দণ্ডাদেশ দেন। এ মামলায় তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলার করগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার ওয়াদুদ মণ্ডলের ছেলে হারুনের সঙ্গে স্ত্রী মাহমুদা বেগমের ধার নেওয়া টাকা পরিশোধ নিয়ে কলহ চলছিল। টাকা পরিশোধ না করায় ২০১২ সালের ১১ জুলাই সকালে নিজ বাড়িতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হারুন ও তার দুই বোন রিজু বেগম, রাজিয়া বেগম এবং বাবা ওয়াদুদ মণ্ডল মাহমুদা বেগমকে মারধর করে। স্বামী গলা চেপে ধরে ও অন্য আসামিরা বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাহমুদাকে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত মাহমুদা বেগমের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে হারুনকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান। তবে আসামি হারুন পলাতক রয়েছে। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আসামির দুই বোন ও বাবাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ ও অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক।
