X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়ার খেতাব বাতিলের বিষয়ে জামুকা’র অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলো বিএনপি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২৩:০৯আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ১৬:১৫

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) যেসব অভিযোগ  তুলেছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এই ব্যাখ্যা তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

একইসঙ্গে দলের পক্ষ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি সব জেলা সদরে জামুকার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো হচ্ছে— সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন,বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা করা।

এর জবাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে  দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালনের জন্য ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকারের দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত, অস্বাভাবিক ও অন্যায় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান ও অবমাননা। এমনকি এই সিদ্ধান্ত তাকে খেতাব প্রদানকারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার-বুদ্ধির প্রতিও অশ্রদ্ধার প্রকাশ। যেসব কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার কথা সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন, তার কোনোটাই যুক্তি কিংবা বাস্তবসম্মত নয়।’’

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যদি এ ব্যাপারে জামুকার যুক্তি মানতে হয়, তাহলে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বহু নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের জন্য অভিযুক্ত হবেন। আর সংবিধান ও সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘন সমার্থক বিধায় জনগণ অবশ্যই প্রশ্ন তুলতে পারে যে, কারা মূল সংবিধানে ‘জরুরি অবস্থা জারির বিধান করে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণের ব্যবস্থা করেছিল।  কারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বলে দাবি করে তাকে সংবিধানের অংশ বানিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতির অনুশীলন করেছে। কারা রক্ষী বাহিনীর নামে দলীয় রাজনৈতিক বাহিনী বানিয়ে, সেই বাহিনীর কার্যক্রমকে ইনডেমনিটি দিয়ে হাজারো মুক্তিযোদ্ধার অপমৃত্যুর কারণ হয়েছে? কাদের সময় বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকাল কারাবন্দি রাখার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন করে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে?’

সরকারি হেফাজতে বন্দি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনা বিচারে হত্যার দৃষ্টান্ত কারা প্রথম স্থাপন করেছে? এসব কি সংবিধানের লঙ্ঘন নয়? এসব ব্যাপারে জামুকা নিঃশ্চুপ কেন?’

অভিযোগ করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় তারাই ছিলেন, যারা এর আগের সরকারের মন্ত্রী ও এমপি ছিলেন। সংসদ বহাল ছিল। স্পিকার লন্ডনে কী মন্তব্য করেছিলেন, তা সবার জানা। কিন্তু তার পরেও তিনি দলের নেতা ছিলেন। ১৫ আগস্ট যিনি সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন, তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য করা হয়েছে, দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। শহীদ জিয়া ২৪ সেপ্টেম্বর উপ-সেনা প্রধান থেকে সেনা প্রধান হয়েছেন স্বাভাবিক নিয়মে। কিন্তু একই দিনে প্রেসিডেন্ট মোশতাক আহমেদের যিনি মন্ত্রীর মর্যাদায় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয়েছিলেন, সেই জেনারেল (অব.) আতাউল গণি ওসমানী সাহেবকে কি আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থন দিয়ে ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করেনি? সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানের ওপরের পদে নিযুক্ত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে ১৯৭৯ সালে জামালপুর থেকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে।’

সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,‘শহীদ জিয়া যদি সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত হন (যদিও তার তেমন কিছু করার সুযোগই ছিল না), তাহলে তার চেয়ে বড় পদে নিযুক্তদের তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিদের ব্যাপারে সরকারি দলের নেতাদের এবং জামুকার মতামত জনগণ জানতে চায়। বর্তমানে সংবিধানের মূলনীতি বাতিলের বিষয়ে সাংবিধানিক বাধা থাকলেও ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে তা ছিল না। ফলে জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ (দুই- তৃতীয়াংশ) সদস্যদের সমর্থনে সংবিধানের সংশোধনী কোনও অপরাধ হতে পারে না।’

স্বাধীনতাবিরোধীদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ড.  মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘জিয়া বীর উত্তমের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, ৭২ থেকে ৭৫ সালের মধ্যে দালাল আইনে গ্রেফতারকৃত বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে তৎকালীন ওইসব রাজনৈতিক নেতাদের জেলখানায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করার কথা আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রচার করেছেন। অপর দিকে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে একাধিক চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তির দলে ও মন্তিসভায় স্থান পাওয়ার তথ্য তো সবারই জানা। ফলে এই অভিযোগও ধোপে টেকে না। ইতিহাস সাক্ষী, মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা. মালেক ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বাতিল এবং চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল শেখ মুজিব সরকারের আমলেই। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রেডিও ও টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। তাই মুক্তিযুদ্ধের শত্রুতা করে যারা দালাল আইনে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত হয়েছিলেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা প্রদান করা হয়েছে। তারা অনুতপ্ত হলে দেশ গড়ার সংগ্রামে অংশ নেওয়ার সুয়োগ দেওয়া হবে।”

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সহায়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা যেদিন দেশত্যাগ করেন, সেদিন শহীদ জিয়া ছিলেন ক্ষমতাহীন ও গৃহবন্দি। সেদিন সেনা প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশররফ। অথচ এ ব্যাপারেও শহীদ জিয়াকে দায়ী করে প্রকৃত দায়ী যে, তাকে আড়াল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এসব ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনে যখন বিদেশে থাকতে বাধ্য করার শর্তে চাকরি দেওয়া হয়, তখনও শহীদ জিয়া রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন না। কাজেই এ ব্যাপারে তাকে দায়ী করা যায় না। কে না জানে যে, তথাকথিত ১/১১ এর অবৈধ সরকারের কুশীলবদের নির্বিঘ্নে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ এবং তাদের অন্যতম একজনকে বিদেশের দূতাবাসে এক্সটেনশন দিয়ে চাকরিতে রেখেছে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার। অসংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এসব ব্যক্তিদের প্রতি এবং ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলকারী এরশাদ সরকারের বিষয়ে বর্তমান সরকারের আচরণ অন্যায়-অপরাধ না হলে, অন্য কাউকে এমন বিষয়ে দোষারোপ করা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অগ্রহণযোগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ এক বিষয় নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম সংগঠিত করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান নেতার ভূমিকা আনস্বীকার্য। এ ব্যাপারে অন্যদের মধ্যে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং বিশেষ করে সংগ্রামী ছাত্রসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা ২৫ মার্চ রাতে মেজর জিয়ার ‘উই রিভোল্ট’,২৬ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং হত্যা করে, বাঙালি সৈন্যদের সুসংহত করে, প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু এবং ২৭ মার্চ প্রথমে নিজের নামে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’

রাজনৈতিক কারণেও এসব অস্বীকার করার উপায় নেই। বীর উত্তম জিয়াউর রহমান যে প্রথম সেক্টর কমান্ডার এবং প্রথম ফোর্সেস কামান্ডার ছিলেন— এটাও ঐতিহাসিক সত্য। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ এবং সাহসী নেতৃত্বের গাঁথা লিপিবদ্ধ আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় নেতাদের প্রকাশিত গ্রন্থ এবং সেই সময়কার পত্রিকায়-সাময়িকীতে। বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের সাফল্য কারও জন্য মর্মপীড়ার কারণ হতে পারে, কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করার কিংবা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান কিংবা অসম্মান করার অধিকার কারও নেই এবং এমন অপপ্রয়াস কখনও সফল হবে না। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন চিরকাল।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

/সিএ/এপিএইচ/

 

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
সম্পর্কিত
পাঁচ বছরে ২৩৭৩ জন অমুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল: হাইকোর্ট
তৃতীয় ধাপের তালিকায় ১২ হাজার ১১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম
সর্বশেষ খবর
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা