X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘কাজী আরেফ যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নটি সামনে এনেছিলেন’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:০৪আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:০৪

‘জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শহীদ কাজী আরেফ আহমেদ যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নটি সামনে এনেছিলেন। এই ইস্যুতে আন্দোলনও গড়ে তুলেছিলেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক গণআদালত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।’ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কাজী আরেফ আহমেদের ২২তম হত্যা দিবস উপলক্ষে জাসদের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার সকালে শহীদ কাজী আরেফ আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে পালন জাসদ। বিকালে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি দলীয় কার্যালয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন— কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি  রাশেদ খান মেনন,  সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের (মো) সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, শহীদ কাজী আরেফ আহমেদের অনুজ কাজী মাসুদ আহমেদ, ভাইয়ের মেয়ে কাজী সালমা সুলতানা প্রমুখ।

কাজী আরেফের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আমির হোসেন আমু  বলেন, ’৬০ এর দশকে ৬ দফাসহ স্বাধীনতার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে ঐতিহাসিক সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিল, সেই সংগ্রামে ঢাকা শহরের ছাত্র-জনতাকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে কাজী আরেফ ঐতিহাসিক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কাজী আরেফ আহমেদ ৬০ এর দশকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ঠিক তেমনই সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। দেশে দুর্নীতিবাজ-লুটেরা গোষ্ঠীর যে উত্থান ঘটেছে, সে বিষয়ে ১৪ দলের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।’

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই লক্ষ্য এবং চেতনাকে ধারণ করে ১৪ দলকে সক্রিয় করতে হবে।’

সভাপতির ভাষণে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘কাজী আরেফ আহমেদ জাসদ গঠন করে গণআন্দোলন ও বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানকে দমন করার মধ্য দিয়ে মুশতাক-জিয়ার হাত ধরে যে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির পুনরুত্থান ঘটেছিল, কাজী আরেফ আহমেদ সেই পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালান। তিনি পাকিস্তানপন্থার রাজনীতিকে মোকাবিলা করতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নটি সামনে আনেন এবং আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক গণআদালত গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।’

 

/সিএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী