X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

১২৪৪টি মামলা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের, লোকবল সংকটে নিষ্পত্তি কম

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:০৩আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫৪

ফয়’স লেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জায়গায় একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক নির্মাণে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে রেলওয়ে ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয় ২০০৫ সালে। চুক্তির একাধিক শর্ত ভঙ্গ এবং ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ব্যয় নিয়ে জটিলতায় ২০১৭ সালে সেটি বাতিল করে রেলওয়ে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করে কনকর্ড। তবে মামলা দুটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘ইজারা চুক্তি বাতিল করায় কনকর্ড ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করেছে। এগুলো এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।’

শুধু ফয়’স লেকের এই দুটি মামলা নয়, ভূমি, নিয়োগ জটিলতাসহ নানা কারণে দায়ের হওয়া এক হাজার ২৪৪টি মামলা বর্তমানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশ মামলা ভূমি বিরোধ নিয়ে দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন কর্মকর্তা। এসব মামলার অধিকাংশ স্বাভাবিকভাবে নিষ্পত্তি হয় না। চলতে থাকে বছরের পর বছর।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন দফতর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ মোট এক হাজার ২৪৪টি মামলা পরিচালনা করছে। এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে ৪৮টি, ঢাকার উচ্চ আদালতে ৪৭৮টি, জজ কোর্টে বিচারাধীন আছে ৬৭১টি এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে ৪৭টি। এই এক হাজার ২৪৪টি মামলার মধ্যে গত জানুয়ারি মাসেই দায়ের করা হয়েছে ১২টি।

এভাবে প্রতি মাসে নতুন নতুন মামলা দায়ের হলেও নিষ্পত্তি খুব একটা হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে মামলার জট। গত জানুয়ারি মাসেই যোগ হয়েছে আরও ১২টি মামলা। ওই মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র একটি মামলা।

মামলা নিষ্পত্তির কম হওয়ার পেছনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন দফতরে জনবল সংকট, মামলা পরিচালনা ব্যয় কমসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন।

এ বিষয়ে  মো. সালাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তি করতে আদালতে পড়ে থাকতে হয়। এর জন্য জনবল দরকার, কিন্তু আইন দফতরে সে রকম জনবল নেই। যেসব পদে লোকবল থাকার কথা, গত কয়েক বছরে সেখানে কোনও লোকবল নেই। আদালত পরিদর্শকের ৩টি পদে ৭-৮ বছর ধরে কেউ নেই। নথি ঠিক করার প্রধান সহকারী নেই। রেকর্ড সহকারী (আরএস) পদেও ৬-৭ বছর কেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আমরা অবাধ টাকা খরচ করতে পারি না। কিন্তু প্রতিপক্ষ মামলা পরিচালনায় নিজেদের ইচ্ছেমতো টাকা খরচ করতে পারে। একটি মামলায় তারা দুই তিন লাখ টাকাও খরচ করেন। এসব কারণেও অনেক সময় মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এ কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে।

/টিএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ