X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা অপহরণ বেশি হয় টেকনাফে, জড়িত বিপথগামী বাংলাদেশিরাও

আবদুর রহমান, (টেকনাফ) কক্সবাজার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:০০আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:০০

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা অপহরণের ঘটনা থামছেই না। এতে করে ক্যাম্পে অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে। তবে অপহরণের ঘটনাগুলো উখিয়ার চেয়ে টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে বেশি ঘটছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা নেতারা। আশঙ্কার কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কিছু উচ্ছৃঙ্খল বাংলাদেশিও এসব কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দেড় মাসে অন্তত ১৯টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতি আড়াই দিনে ঘটেছে একটি করে অপহরণের ঘটনা।

এপিবিএন দাবি করেছে, এসব ঘটনায় ৩০ জন অপহৃত হয়। তাদের প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আটক হয়েছে ২১ অপহরণকারী।

এপিবিএনসহ অন্য আইন শৃঙ্খল বাহিনীগুলো জানায়, অপহৃতদের বেশিরভাগই শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা। তাদের অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে বিপুল অংকের টাকা দাবি করে সন্ত্রাসী অপহরণকারীরা। না দিলে অপহৃতকে মারধর এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যে। অতীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে বাংলাদেশি গ্রামবাসী ও কৃষকদেরও অহরণ এবং চাঁদা না পেয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। মাঝেমধ্যেই এসব ঘটনা ঘটে। এরসঙ্গে বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীরাও জড়িত।

গত দেড় মাসে টেকনাফে ১৪টি অপহরণের ঘটনায় ২৪ অপহৃত রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে এপিবিএন-১৬ অধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এর মধ্যে ছয়টি অপহরণের মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

‘কেউ অপহৃত হওয়ার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা অপহৃতদের উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছি,’ বলেন তিনি।

অন্যদিকে, উখিয়ায় গত দেড় মাসে পাঁচটি অপহরণের ঘটনায় ছয় অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে এপিবিএন-১৪ অধিনায়ক এসপি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। শিবিরগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সদা সর্তক রয়েছি,’ বলেন এই কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে টেকনাফের পাঁচ শরণার্থী নেতাকে অপহরণের সূত্র ধরে রোহিঙ্গা অপহরণকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী কমিটির মহাসচিব নূর খান লিটন বলেন, ‘শরণার্থী শিবির অধ্যুষিত এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বাংলাদেশি অপরাধীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে। শুধু অপহরণ নয় যৌথভাবে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মতো অপরাধগুলো করে আসছে তারা। এদের মধ্যে রোহিঙ্গারা মাঝেমধ্যেই আটক হলেও ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধে জড়িত বাংলাদেশিরা খুবই কমই ধরা পড়ছে,’ বলেন তিনি।

শরণার্থী বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরুর) নির্বাহী ড. সি আর আবরার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অপরাধীদের একইদৃষ্টিতে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও ধরনের বৈষম্য আমাদের কাম্য নয়।’

অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নেতা ইমান উল্লাহর পরিবার চিন্তিত।

টেকনাফে অপহরণ আতঙ্ক বেশি

উখিয়ার চেয়ে টেকনাফে অপহরণের ঘটনা বেশি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এসপি তারিকুল বলেন, ‘গত বছরের শেষের তিন মাসেও এখানকার ( টেকনাফের) রোহিঙ্গা শরাণার্থী শিবিরে ১২টি অপহরণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১৭ জন অপহৃত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে এপিবিএন-১৬। একইসঙ্গে ১২ জন অপহরণকারী আটক হয়েছে।’

সর্বশেষ ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবির থেকে অপহৃত জাফর আহমেদ (৩৫) ও মোহাম্মদ আলমকে উদ্ধার করে তারা।

টেকনাফ মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমানও বলেন, ‘পাহাড় সংলগ্ন আট শরণার্থী শিবির থেকে প্রায়ই অপহরণের খবর আসে। সেখানকার অপহরণকারীদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।’

রোহিঙ্গা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘অন্য ক্যাম্পের তুলনায় উনচিপ্রাং ক্যাম্পেই অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটে। ক্যাম্পটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। সেখানকার পাঁচ মাঝি (নেতা) অপহরণের ঘটনায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের আতঙ্ক বেড়ে গেছে।’

পাঁচ নেতা অপহরণে মামলা

বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের যোগসাজশেই অপহৃত হয়েছিলেন টেকনাফের উনচিপ্রাং শরণার্থী শিবিরের পাঁচ নেতা। ঘটনার ছয়দিন পরে মঙ্গলবার দুই বাংলাদেশি, ৩০ রোহিঙ্গা ও ২০ অজ্ঞাতসহ মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে টেকনাফ মডেল থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে এ তথ্য উল্লেখ করেছে এপিবিএন।

ওই ঘটনার শিকার হওয়া রোহিঙ্গা মাঝিরা ঘটনার আকস্মিকতায় এতটাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন যে মামলার বাদী হতেও রাজি হননি। ফলে এপিবিএন-১৬ এর উনচিপ্রাং পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শাহজাহান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

এই প্রতিনিধির সংগ্রহে থাকা এজাহারের অনুলিপিতে দেখা গেছে মামলা করতে বিলম্ব হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ‘মাঝিদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে শুনে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার’ কথা উল্লেখ করেছেন বাদী।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ওসি বলেন, ‘এজাহারে বলা হয়েছে, বাঙালি দুষ্কৃতকারীরা অপহরণের পর মাঝিদের রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে।’

অপহৃতদের মধ্যে উনচিপ্রাং ক্যাম্পের ডি ব্লকের হেডমাঝি সাব্বির আহমদ (৪২), এ ব্লকের হেডমাঝি মো. ইউসুপ (৩২) এবং বি ব্লকের হেড মাঝি আবু মুছাকে (২৯) বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়ার ১৪ নম্বর (হাকিমপাড়া) ক্যাম্পের এ-ফোর ব্লক থেকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে এপিবিএন।

বাকি দুই জন, বি-টু ব্লকের হেড মাঝি মো. রফিক (৪২) এবং সি-ব্লকের হেড মাঝি আমান উল্লাহকে (৪৫) শুক্রবার রাতে অপহরণকারীরা বালুখালীর পানবাজার এলাকায় ছেড়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে মামলার এজাহারে।

‘অপহরণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান এবং শক্তি-সামর্থ্যের বিষয়টি এই মাঝিরা জানেন। যে কারণে তারা এতটাই ভীত যে অপহৃত হওয়ার পরও মামলা করার সাহস হয়নি তাদের’, বলেন মানবাধিকার কর্মী লিটন।

গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুছাও বলেন, ‘ক্যাম্পেও অপহরণকারীদের অনেক গোপন সংবাদদাতা রয়েছে। আমরা কী করছি না করছি সব নজরদারি করছে তারা। যে কারণে এখনও ভয়ের মধ্যে রয়েছি। ক্যাম্পে চাঁদাবাজিসহ কোনও অপরাধ যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা (অপহৃত মাঝিরা) আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত এই কারণে আমাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল,” দাবি তার।

অপহরণকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা। মামলার অভিযোগে এপিবিএন কর্মকর্তাও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

তাদের পাঁচজনের কাছ থেকে মোবাইল, অলঙ্কার, নগদ অর্থসহ প্রায় সাড়ে ৮৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে অভিযুক্তরা। একইসঙ্গে মারধর করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর মধ্যে আমানকে হাতুড়ি দিয়ে গুরুতর আঘাত করেছে তারা। তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে (আমান) সবচেয়ে বেশি মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের ধরতে আমরা দ্রুতই অভিযান শুরু করবো।’
উনচিপ্রাং ক্যাম্পের এপিবিএন চৌকির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম জানান, তারাও পুলিশের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেবেন।

যেভাবে অপহৃত হয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝিরা

এজাহারে প্রকাশ, বুধবার দুপুরে পাশের চাকমারকুল শিবির থেকে ফেরার পথে মহাসড়কের কেরুনতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশি দুই সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীরা মাঝিদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশার গতি রোধ করে। পরে কাঁচা রাস্তা দিয়ে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের হাতে সোপর্দ করে।

সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ইউসুপ বলেন, ‘সিএনজি থেকে নামিয়ে আমাদের চোখ, হাত ও পা বেঁধে ফেলে অপহরণকারীরা। এরপর একটি গাড়িতে তুলে উখিয়াতে নিয়ে যায়। রাতে একটি ঝুপড়িতে রেখে কিছু নাম জানতে চেয়ে মারধর করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা না করলে আমাদের হয়ত মেরে ফেলা হতো,’ বলেন তিনি।

উদ্ধার রোহিঙ্গা নেতা সাব্বির জানান, ‘শুরুতে মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে অস্ত্র তাক করে আমাদের পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। আমরা যেতে না চাইলে অনেক মারধর করে। এরপর চোখ বেঁধে ফেলা হয়।’

অপহরণকারীরা নিজেদের আল-ইয়াকিনের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে বলে অপহৃতরা দাবি করলেও এজাহারে সে ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার কোনও অস্তিত্ব নেই। আতঙ্ক তৈরি করতে সাধারণ অপহরণকারীরাই এই সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে। এই নাম বলে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে তারা।

টিএন/
সম্পর্কিত
উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
সর্বশেষ খবর
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
বাবার সঙ্গে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ
বাবার সঙ্গে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা