কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহিদ ইসলাম পাপুলের রায়ের কপি পাওয়ার প্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদ সচিবালয় রায়ের কপি পেয়ে কার্যপ্রণালী বিধি ও সংবিধান অনুযায়ী প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে। দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি ও একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসের ছুটির পর অফিস খোলা হলে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের কাছে সংসদ সদস্য শহিদ ইসলামের সাজার রায়ের কপি এসে পৌঁছেছে। ছুটির পর রায় পর্যালোচনা করে সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অবশ্য সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান রায়ের কপি পাওয়ার পেক্ষিতে দাফতরিক কার্যক্রম শুরু করা কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই বিষয়ে মাননীয় স্পিকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, তারা রায়ের কপি পাওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেটি সংসদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশর সংবিধান অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত কোনও ফৌজদারি অপরাধে দুই বছর বা তার বেশি সময় সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে।
এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য পদ যেসব কারণে শূণ্য হবে তা বলা হয়েছে। ৬৭ (ঘ) -এ বলা হয়েছে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীনে অযোগ্য হলে সংসদ সদস্য পদ শূণ্য হবে। আর ৬৬ (২) দফায় বলা হয়েছে সংসদ সদস্য পদ শূণ্য হবে যদি (ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনও ফৌজদারি অপরাধে দোষি সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হলে।
প্রসঙ্গত, অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুরের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের আদালত চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ের এক মাসের বেশি সময় পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে রায়ের কপি পৌঁছেছে।
