X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন জাদুঘরে নেই রফিকের কোনও স্মৃতিচিহ্ন

মতিউর রহমান, মানিকগঞ্জ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:১৯আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:১৯

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার জন্য জড়ো হচ্ছিলেন। রাস্তার বাইরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে তখন এসেছিলেন রফিক উদ্দিন নামে এক যুবক। সঙ্গে ছিল তার মামাতো ভাই মোশাররফ হোসেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন না। রফিক পড়তেন জগন্নাথ কলেজে। তারা যাচ্ছিলেন লক্ষ্মীবাজার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গেটের কাছে এলে পুলিশ তাদের উত্তর দিকে যেতে বাধা দেয়। তখন তারা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীবাজারের দিকে রওনা দেন এবং মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের উত্তর-পশ্চিম দিকের গেটের কাছে পৌঁছেন। সেখানেও একদল বন্দুকধারী পুলিশকে দেখতে পান তারা। তখন মোশাররফ হোসেন হোস্টেলের ১৩ ও ১৯ নম্বর শেডের পেছনে দাঁড়িয়ে একজনের সাথে কথা বলতে থাকেন। রফিক তখন দাঁড়িয়েছিলেন ২২ নম্বর শেডের কাছে। আসলেই কি তারা লক্ষ্মীবাজারে যাচ্ছিলেন? নাকি পুলিশকে দেখে একটা কিছু বানিয়ে বলার চেষ্টা ছিল। ভাষা নিয়ে এত কিছু হচ্ছে পাশেই, আসছে মিছিল। সে মিছিলে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন কি রফিক? জবাবটা আর পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণ পরই একদল পুলিশ হোস্টেলে ঢুকেই গুলি শুরু করে। এদের গুলিতে হোস্টেলের বারান্দাতেই নিহত হন রফিক। গুলিতে খুলি উড়ে যায় তার।
ইতিহাস তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসেবে। এই মানুষটির বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বলধরা ইউনিয়নের পারিল গ্রামে। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা ভাষা দাবি আদায়ের জন্য চরম ত্যাগ স্বীকার করা এই ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষার্থে তার গ্রামে নির্মিত হয়েছে গ্রন্থাগার ও জাদুঘর। আর মূল ফটকের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে রফিকের মুর‌্যাল। কিন্তু গ্রন্থাগার ও জাদুঘর স্থাপন হলেও সেখানে নেই রফিকের কোনও স্মৃতিচিহ্ন।

ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন জাদুঘর সংগলগ্ন পাঠাগারের ভেতরের দৃশ্য।

রফিকের অবশিষ্ট সব কিছুই পারিবারিক দখলে:

শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদের ছোট ভাই খোরশেদ আলম জানান, ভাষা শহীদের ব্যবহৃত চারটি চেয়ার ও একটি টেবিল পারিল গ্রামে নিজ বাড়িতে রয়েছে। বাড়ির লোকেরা তা ব্যবহার করছে। আর তার ব্যবহার করা খাটটি এখন মানিকগঞ্জ শহরে তার বাসায়ই আছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব জিনিসপত্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হলে এগুলো তারা জাদুঘরে দিতে রাজি আছেন।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ‘শহিদ রফিক উদ্দিনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র জাদুঘরে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। যদি তার ব্যবহৃত কোনও উপকরণ বিশেষ করে চেয়ার, টেবিল, চশমা, খাট ছাড়াও অন্য কিছু থাকে, তাহলে শতভাগ গুরুত্ব দিয়ে রাখতে পারবো। তিনি আরও বলেন, জাদুঘরের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কেয়ারটেকার থাকে।

ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বেধনী ফলক

শুধু নামকরণে আটকে আছে আছে রফিক স্মৃতি জাদুঘর!

গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ফরহাদ হোসেন খান জানালেন, রফিকের স্মৃতির কিছুই সংরক্ষণে নেই এই জাদুঘরে। শুধু নামকরণের মধ্যেই ‘ব্র্যাকেট বন্দি’ আছে রফিক স্মৃতি জাদুঘর। জাদুঘরে নেই রফিকের কোনও স্মৃতিচিহ্ন। নেই রফিকের নকশি কাঁথা,কলমসহ ব্যবহার্য কোনও জিনিসপত্র। পরিপাটি গ্রন্থাগারে ৯ হাজারেরও বেশি বই থাকলেও ভাষা শহীদ রফিকের ওপর রচিত বই মাত্র দুটি। বাকিগুলো গল্প উপন্যাস। নেই মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুব বেশি বই।
লাইব্রেরিয়ান আরও জানালেন, ভৌগলিক ভাবে এই গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটির অবস্থান এক নিভৃত পল্লী এলাকায় হওয়ায় এখানে ফেব্রুয়ারি মাস আর বিশেষ দিবস ছাড়া দর্শনার্থীদের আগমন কম থাকে। এখানে আসা যাওয়ার রাস্তাটির অবস্থাও বেহাল। তার মতে, গ্রন্থাগারে ভাষা শহীদদের ওপর ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন জাদুঘর সংলগ্ন পাঠাগারের ভেতরের দৃশ্য।

গ্রন্থাগার ফরহাদ হোসেন খান সম্পর্কে শহীদ রফিকের ভাতিজা। তার দাবি, একজন শহীদ পরিবারের সদস্য হয়েও যে চাকরিটা করছেন সেটিও অস্থায়ী। মাত্র ১৫ হাজার টাকা বেতনে সংসার চালানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই ভাষা শহীদের পরিবারের সন্তান হিসেবে তার চাকরিটা জাতীয়করণের দাবি জানান তিনি। শুধু ভাষা সৈনিক রফিক নন, রফিকের আরও চার ভাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের পরিবারের এই সদস্যের দাবি, এক চাচা ভাষা সৈনিক আর চার চাচা মুক্তিযোদ্ধা। কাজ করছি ভাষা সৈনিক রফিকের স্মৃতি রক্ষার জন্য বানানো গ্রন্থাগারে। তবু কি এই চাকরিটা জাতীয়করণ সম্ভব নয়? বাকিদের তো জন্য তো সরকার এটা সেটা অনেক কিছুই করছে। কিন্তু, ভাষার জন্য জীবন দেওয়া, দেশের জন্য যুদ্ধ করা পরিবারের এমন অর্থনৈতিক দৈন্যদশা আর কতদিন থাকবে?
এই গ্রন্থাগার কাম যাদুঘরের পরিচ্ছন্ন কর্মী শাহজালাল মিয়া বাবুও দৈনিক হাজিরাভিত্তিক চাকরি করছেন।
স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ আসে এই জাদুঘর দেখতে। তবে এ জাদুঘরে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসসমৃদ্ধ বইয়ের সংখ্যা খুবই কম যা সত্যিই দুঃখজনক।


ভাষা শহীদ রফিকের স্মৃতিরক্ষার চেষ্টা:

২০০৭ সালে ভাষা শহীদের বাড়ির পাশে তার স্মৃতি রক্ষার্থে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মজিবুল ইসলাম খান পাশা ৪৫ শতাংশ জমি দান করেন। আর সেখানে ২০০৮ সালে ৩৪ শতাংশ জমিতে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ নির্মাণ করে একটি গ্রন্থাগার ও জাদুঘর। এছাড়া ২০০০ সালে রফিকের স্মৃতি রক্ষার্থে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে একটি ঘর তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেখানেই বসবাস করেন শহীদ রফিকের পরিবার। রফিকের নামে গড়া স্মৃতি জাদুঘরে রফিকের শৈশবের কোনও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করা হয়নি। কিছু স্মৃতিচিহ্ন রাখা আছে তাদের পরিবারের কাছে। আর ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ বছর পর ২০১৬ সালে শহীদ রফিকের বাড়ির আঙিনায় বৃহৎপরিসরে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার।

৩৭ শতাংশ জমির ওপর ভাষা শহীদ রফিকের পৈতৃকভিটা। এই জমিটি সব ভাইয়ের সন্তানদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। রফিকের নামে তিন শতাংশ জমি রাখা হয়েছে। রফিকের একমাত্র জীবিত ভাই খোরশেদ আলম মানিকগঞ্জ সদরে সরকারি বরাদ্দকৃত বাড়িতে থাকেন।

ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন জাদুঘর সংগলগ্ন পাঠাগারের প্রস্তরফলক।

 

রফিকের আত্মপরিচয়ের পেছনের কথা:

ড. সৈকত আসগরের ভাষা আন্দোলন ও শহীদ রফিক এবং বাংলা একাডেমির চরিতাভিধান থেকে জানা যায়, শিক্ষা জ্ঞান আর বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্রে উদ্দীপ্ত পারিল গ্রামে ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ। রফিকের দাদার নাম মো. মকিম । মো. মকিমের ঘরে জন্ম নেন জরিপ উদ্দিন, তরিপ উদ্দিন, ওয়াসিম উদ্দিন, আব্দুল লতিফ। এই আব্দুল লতিফই রফিকের গর্বিত পিতা। মা রাফিজা খাতুন। এদের ঘর আলো করে জন্ম নেন রফিক উদ্দিন আহমদ ,আব্দুর রশিদ ,আব্দুল খালেক ,আব্দুস সালাম, খোরশেদ আলম ,আলেয়া বেগম ও জাহানারা বেগম। বাল্যকাল থেকেই রফিক ছিলেন চঞ্চল প্রাণোচ্ছ্বল। প্রাণোচ্ছ্বলতার শিল্পীত প্রকাশও ঘটেছিল কৈশোর বয়সেই। সুঁই-সুতায় নকশা আঁকায় হাত পাকা ছিল বেশ। রফিকের দুরন্তপনার মুখ্য বিষয়ে ছিল গাছে চড়া। আর গাছে চড়তে গিয়েই একবার তার পা ভাঙে। চিকিৎসার জন্য সে সময় তাকে কলকাতা পর্যন্তও পাঠানো হয়েছিল। চঞ্চল রফিকের ভবিষ্যত ভেবে তার বাবা তাকে কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউটে ভর্তি করিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে তার মন টেকেনি। কয়েক বছর পর ফিরে আসেন দেশে। ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় সিংগাইরের বায়রা হাইস্কুলে। এ স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর কলেজ জীবন। ভর্তি হন দেবেন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগে এবং ১ম ও ২য় বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তারপর লেখাপড়া বন্ধ। তবে লেখাপড়া ছেড়ে থাকা তাঁর সম্ভব হয়নি। আবারও ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। জগন্নাথ কলেজে ছাত্র থাকাকালেই ভাষার জন্য শাহাদাৎ বরণ করেন তিনি।

ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিনের ম্যুরাল

ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ

শতভাগ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটা মোটমুটি নিশ্চিত যে রফিকই ছিলেন ৫২’র ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ। বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, যিনি ভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে তার মাথার খুলি উড়ে গিয়েছিল । ১৯৫২’র ২২ ফেব্রুয়ারি সংখ্যার দৈনিক আজাদ পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, ‘গতকল্য (বৃহস্পতিবার) বিকাল প্রায় চারটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালনার ফলে বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের পুত্র রফিকুদ্দিন আহমদের মৃত্যু হয়।’ সাপ্তাহিক নতুন দিন পত্রিকা তাদের ২য় বর্ষ ১৬-১৭শ সংখ্যায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সৌজন্যে শহীদ রফিকের মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার ছবি ছাপে। বিশিষ্ট গবেষক ও সাহিত্যিক বশীর আল হেলাল তাঁর ‘ভাষা আন্দেলনের ইতিহাস’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘হয়তো আসলে রফিক উদ্দিন আহমদ প্রথম শহীদ হন। হয়তো তার মাথার খুলিই উড়ে গিয়েছিল ।’ এ গ্রন্থে তিনি তথ্য-উপাত্ত-যুক্তি দিয়ে রফিককেই প্রথম ভাষাশহীদ হিসাবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন। ‘ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার’ গ্রন্থে ড. রফিকুল ইসলাম ভাষা আন্দোলনকালে ঢাকায় অবস্থানরত শহীদ রফিকের ভগ্নিপতি মোবারক আলী খানের যে বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন তাতেও প্রমাণিত হয় রফিকের মাথার খুলিই উড়ে গিয়েছিল এবং তিনিই ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ।

রফিকের লাশ শনাক্ত এবং আড়ালে থাকা কিছু তথ্য:

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শহীদ রফিকের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁর ভগ্নিপতি মোবারক আলী খান। সময় ছিল রাত ৯টার মত। সে সময় মাথার চুল কোঁকড়ানো, লম্বা নাক, রফিকের পরনে ছিল হালকা নীল রঙের সার্ট,সাদা ফুলপ্যান্ট, নেভি রঙের মোজা, চকচকে কালি করা পুরনো ইংলিশ সু। আর জামার পকেটে ছিল একটি সেফার্স কলম। যে কলম দিয়ে মোবারক আলী খান নিজেও বহুবার লিখেছেন । প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়ুলাহ’র উপস্থিতিতে শহীদ রফিকের জানাজা পড়ান হাফেজ আব্দুল গফুর । তাঁকে কবর দেয়া হয় আজিমপুর কবর স্থানে রাত তিনটায়। পাকিস্তানি পুলিশ নিজেরাই লাশ কবরস্থ করেছিল। আজিমপুর কবরস্থানের অসংরক্ষিত এলাকায় লাশ দাফনের কারণে আজও অজ্ঞাত রয়ে গেছে তাঁর কবর। রফিকের মা তাঁর জীবিতকালে একটি বারের জন্যও প্রিয়পুত্রের কবরটি দেখে যেতে পারেননি।

বিয়ের পিড়িতে আর বসা হয়নি রফিকের :

১৯৫১ সালের নভেম্বরে নিজ গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে পানু বিবির সাথে রফিকের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল। বাবা মায়ের অনুরোধে এ সময় ও বয়সে বিয়েতে রাজি হন তিনি। ৫২’র ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করবার জন্য রফিকের বাবা কর্মস্থল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন । কিন্তু বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার আগেই শহীদ হন রফিক।

দায়ের হয়নি শহীদ রফিক হত্যামামলা:

১৯৫২ সালের ২৮ মার্চ রফিকের মামাতো ভাই মোশাররফ হোসেন খান ঢাকার সদর মহকুমা হাকিম এন.আহমদের এজলাসে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বিচারক ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৩৭ এবং ১৩২ ধারার কথা বলে মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!