X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিববর্ষেই সবার জন্য ঘর ‍ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:০৯আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:৩৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি চেয়েছিলেন এ দেশে কোনও মানুষ গৃহহীন থাকবে না। একজন মানুষের যদি একটি ঠিকানা থাকে, ঘর থাকে, তাহলে তার জীবন অর্থবহ হয়। মুজিববর্ষের মধ্যেই সবার জন্য ঘর এবং সব ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। দলের নেতারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। আর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি যেমন জাতিসংঘে বাংলায় বক্তব্য দিয়ে এ ভাষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তেমনি দেশের অভ্যন্তরেও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন। উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন করছিলেন। নির্যাতিত নারী ও শিশুদের পুনর্বাসন, অবকাঠামো গড়ে তুলছিলেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছিলেন। শহীদ পরিবারগুলোকে সহায়তা করছিলেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রের সব দিক নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে সময় দেওয়া হয়েছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু আজ যখন দেখি রাষ্ট্রের সবক্ষেত্র উন্নত এবং শক্তিশালী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি, তখন আশ্চর্য হতে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা না ঘটলে দেশ আরও অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

সরকার প্রধান বলেন, ‘আজ জাতির পিতা নেই। কিন্তু তিনি নির্দেশনা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। শিক্ষা-দীক্ষায়-প্রযুক্তিতে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে এবং অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তার সেই নির্দেশিত পথেই সরকার কাজ করছে। দেশের গৃহহীনদের বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষে সব গৃহহীনের ঘর নিশ্চিত করার পাশাপাশি সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী প্রমুখ।

শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেছিলেন ১৯৪৮ সাল থেকেই। তিনি যে অনেক আগে থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা তার বক্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি ৫২-তে ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তারপর ৫৬-তে শহীদ মিনার তৈরি ও ভাষার স্বীকৃতি আওয়ামী লীগের হাত ধরেই আসে। ১৯৭১ সালে তার একটি বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার অধিকারের দাবিতে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি ছিল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অধিকার অর্জনের আন্দোলন’। এরপর ৬৬-তে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দিয়েছিলেন। এসব তিনি করেছিলেন নিপীড়িত, ক্ষুধার্ত, সহায়-সম্বলহীন, অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। তিনি নিজের জন্য কিছু করেননি, কখনও ভাবেননি, কোনও চাওয়া-পাওয়া রাখেননি। সবই করেছিলেন এ দেশের ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষের জন্য। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’ 

প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবেই সবার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন। শিক্ষাকে অবৈতনিক করা, প্রতিটি ইউনিয়নে হাসপাতাল গড়ে তোলা এবং সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য খাস জমি বিতরণ ও গুচ্ছগ্রাম নামের প্রকল্প নিয়েছিলেন। সরকার তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা এবং বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সবাইকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজে যার যার জায়গা থেকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

/এমএইচবি/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইরান-সমর্থিত ইরাকি সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, নিহত ১
ইরান-সমর্থিত ইরাকি সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, নিহত ১
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা