২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হওয়া পথচলা থামিয়ে দিলেন উপুল থারাঙ্গা। ১৫ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মালা গেঁথে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান। আজ (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
প্রায় দুই বছর শ্রীলঙ্কা দলের বাইরে তিনি। ২০১৯ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ফেরার চেষ্টা না করে ৩৬ বছর বয়সে জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থারাঙ্গা। ১৫ বছরের পথ এখানেই থামিয়ে দেওয়া যৌক্তিক মনে হয়েছে সদ্য সাবেক হওয়া টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
অবসরের ঘোষণায় থারাঙ্গা বলেছেন, “কথায় আছে, ‘সব ভালোরই শেষ আছে।’ আমি বিশ্বাস করি, ১৫ বছর নিজের সবটা উড়াজ করে দেওয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসে গেছে আমার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।”
১৫ বছরের লম্বা ভ্রমণে থারাঙ্গা খেলেছেন ৩১ টেস্ট। যদিও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি লাল বলের ক্রিকেটে, ২১.৮৯ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৭৫৪ রান। তবে ওয়ানডেতে ছিলেন দারুণ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ২৩৫ ম্যাচে ৩৩.৭৪ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ৯৫১ রান। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার পঞ্চম সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে বিদায় নিলেন থারাঙ্গা। তার ১৫ সেঞ্চুরি চেয়ে বেশি শতক আছে শুধু সনাথ জয়াসুরিয়া, কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকরত্নে দিলশান ও মাহেলা জয়াবর্ধনের।
ক্রিকেট বিশ্ব তাকে মনে রাখবে ২০১১ বিশ্বকাপের জন্য। সেবার শ্রীলঙ্কার ফাইনালে খেলার পথে ৫৬.৪২ গড়ে করেছিলেন ৩৯৫ রান, যাতে ছিল দুটি সেঞ্চুরি। আরেকটি কারণেও তিনি থাকবেন আলোচনায়। ২০০৬ সালে লিডসে জয়াসুরিয়ার সঙ্গে ওপেনিংয়ে রেকর্ড ২৮৬ রানের জুটি গড়েছিলেন থারাঙ্গা, যেটি টিকে ছিল একযুগ।
২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন থারাঙ্গা। এই সংস্করণে ২৬ ম্যাচে করেছেন ৪০৭ রান, যেখানে সর্বোচ্চ রান ৪৭।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির মতো অধিনায়কত্বেও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়া সফরেও পেয়েছিলেন অধিনায়কত্ব। যদিও তার নেতৃত্ব দেওয়া তিনটি সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।