চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল চেয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালতে তিনি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কারচুপির মাধ্যমে রেজাউল করিমকে নির্বাচিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগে মামলা করেছি।’
মামলায় বিবাদী হলেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মাদ ওয়াহেদ মুরাদ, মো. জান্নাতুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চসিক কর্মকর্তারা রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচনের নামে ওইদিন শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে এখনও পাওয়া যায়নি। কোনও কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
আরও পড়ুন:
ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে মামলা করবো: ডা. শাহাদাত
আ.লীগের সঙ্গে নির্বাচন হয়নি, হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে: ডা. শাহাদাত