নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত ঘরে ঢুকে এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, আটক দুজনকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দেবকালা গ্রামের আবদুল মুন্সীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে আতঙ্কে এক নারী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার জন।
আটককৃতরা হলো– উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মহিবউল্লা গ্রামের সায়েদুল হকের ছেলে শামীম (২৩) এবং একই গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে আরাফাত হোসেন (১৫)।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মো. ওমর ফারুক (২৭) একই উপজেলার দেবকালা গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে। অপর আহতরা হলেন– ফারুকের মা কুলসুম বেগম (৫৫), ভাই রিয়াজ (২২) ও হৃদয় (১৫)।
ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া নারী মজিবা খাতুন (৭২) ওই বাড়ির শরীয়ত উল্লার স্ত্রী এবং গুলিবিদ্ধ ফারুকের চাচি। ঘটনার সময় আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ফারুকের চাচি ও আবদুল হকের স্ত্রী পুষ্প বেগম (৪০)।
জানা যায়, গত বছর উপজেলার মহিবউল্লা গ্রামের জাফর উল্লার ছেলে সন্ত্রাসী কালা বাবু দেবকালা গ্রামের আবদুল মুন্সী বাড়ির ফারুককে মারধর করে। এ ঘটনায় ফারুক বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে কালা বাবু বিভিন্ন সময় ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ফারুককে হুমকি ও চাপ দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার পাশ্ববর্তী ভূঁইয়ালী বাড়ির গাছের কুল পাড়ে আবদুল মুন্সী বাড়ির এক ছেলে। ভূঁইয়ালী বাড়ির লোকজন এ নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে সন্ত্রাসী কালা বাবুকে খবর দেয়। পূর্ব শক্রতা এবং ভূঁইয়ালী বাড়ির পক্ষ নিয়ে ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ফারুকের উপর হামলা চালিয়ে প্রথমে মারধর করে গুরুতর আহত করে কালা বাবু। পরে তার ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং ফারুকের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে কালা বাবু গুলি করে চলে যায়। এ সময় আতংকে হার্ট অ্যাটাক করে ফারুকের চাচি মজিবা খাতুন ঘটনাস্থলে মারা যান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফারুক এবং তার মা আহত কুলসুম বেগম উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফারুকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। অসুস্থ আবদুল হকের স্ত্রী পুষ্প বেগমকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
