X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার টিকা কী করে নেবেন দুর্গম এলাকার মানুষ

জিয়াউল হক, রাঙামাটি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৩১আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৩১

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের শেষ জেলা রাঙামাটি। এটিই দেশের একমাত্র জেলা যার সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। তবে সেই সীমান্ত একেবারেই পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা। দেশের তিন পার্বত্য জেলার অন্যতম রাঙামাটিতে ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৬ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জন। এখন এই সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি হলেও পার্বত্য এই জেলায় প্রায় সবকটি উপজেলাই দুর্গম। ছয়টি উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায় নৌপথ। যোগাযোগ কোনও কোনও অংশে এতটাই দুর্গম যে এখনও উপজেলা সদরে আসতেই কিছু গ্রাম থেকে দেড় থেকে দুদিন লাগে। বিদ্যুৎ নেই, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। ফলে এখনও তারা দেশে থেকেও নিজেদের বৃত্তে বন্দি। বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার এই দুর্গম এলাকার মানুষ কী করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের সুবিধার আওতায় আসবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

এখানকার বেশিরভাগ মানুষ জুম চাষ আর মাছ শিকারের ওপর জীবিকা নির্বাহ করেন। স্থানীয়রা জানান, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার এমন কিছু ইউনিয়ন আছে সেসব গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে আসতে হয় পায়ে হেঁটে। বন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটে আসতে একদিন সময় লাগে। সারা দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও তেমন কোনও উন্নয়নের ছোয়া এখনও এসব দুর্গম এলাকা স্পর্শ করেনি।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক, বিলাইছড়ির ফারুয়া ও বড়থলি এবং জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের বিদ্যুতের সুবিধা ও মোবাইলফোনের নেটওয়ার্কের কোনও সুবিধা নেই। গ্রামের এসব সাধারণ মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে শুধু হাটের দিন দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে উপজেলায় আসে।

সরকার সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছে কিন্তু, সুবিধাবঞ্চিত দুর্গম এলাকায় বসবাসকারীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখনও অনেকের মধ্যে টিকা গ্রহণের বিষয়ে কোনও ভালো ধারণা নেই। তবে কেউ কেউ টিকার বিষয়ে জানেন বলে জানিয়েছেন। আবার অনেকের ইচ্ছে থাকলেও দুর্গম এলাকা থেকে আসতে চাইছেন না।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যমে ওইসব মানুষকে টিকা নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার কাজ চলছে।

সাজেক ইউনিয়নের তাংনা পাড়ার কার্বারি পলেন ত্রিপুরাকে করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কি? আমাদের গ্রামে তো হামের টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি করোনার টিকা সম্পর্কে কোনও কিছু জানেন না বলে জানান। এই কার্বারি আরও জানান, তাদের গ্রামে ৩০/৩৫ পরিবারের পরিবারের বসবাস। জরুরি কাজ না থাকলে কেউ উপজেলায় যায় না। গত ১৫/১৬ দিন আগে উপজেলায় গিয়েছিলাম। উপজেলায় যেতে একদিন হাঁটতে হয় বলে জানান তিনি।

রাঙামাটির দুর্গম সাজেকের ইউপি চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা (নয়ন) বলেন, সরকার যে সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে, সেটি কীভাবে আমার ইউনিয়নের জনগণ নেবে সেটি নিয়ে চিন্তায় আছি। কারণ, আমার ইউনিয়নের অনেক গ্রাম আছে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। আবার সেই সব মানুষ উপজেলা সদরে যেতে পায়ে হেঁটে একদিন সময় লাগে। তাহলে সেই সব মানুষ কি ভ্যাকসিন পাবে না?

তিনি আরও বলেন, ইপিআই যেভাবে টিকা কার্যক্রম চালায় যদি স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে সেভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম করা যায় তাহলে দুর্গম ও মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষজনকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

রাঙামাটি জেলার আরেক দুর্গম উপজেলা বিলাইছড়ি। বিলাইছড়ির দুর্গম ও প্রত্যন্ত ইউনিয়ন ফারুয়া ও বড়থলি। জানুয়ারি থেকে হ্রদের পানি শুকাতে শুরু করলে সেখানে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। পুরো ইউনিয়নটি দুর্গম ও মোবাইলফোন নেটওয়ার্কের বাইরে বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা।

বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা আরও বলেন, সরকারি ও জরুরি কাজ থাকে বিধায় আমি বেশিরভাগ সময় উপজেলায় থাকি। সরকারি ও জরুরি কাজ না থাকলে তখন এলাকায় যাই। ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জ্বি, আমি নিয়েছি।

ইউনিয়নের কত লোকজন ভ্যাকসিন নিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। পুরো ইউনিয়নটি দুর্গম এবং কিছু গ্রাম আছে যেমন মন্দিরাছড়া, তিনবানছড়া এসব গ্রাম থেকে ইউনিয়নে আসতে ৬/৭ ঘণ্টা লাগে। আবার সেখান থেকে আবার উপজেলায় আসতে আরও ৩/৪ ঘণ্টা লাগে। অনেকের ইচ্ছে থাকলেও দুর্গম পথের কারণে আসতে চাচ্ছে না। আমি মেম্বার, হেডম্যান ও কার্বারির মাধ্যমে এলাকায় খবর পাঠিয়েছি কেউ যদি ভ্যাকসিন নিতে চায় তাহলে উপজেলায় এসে রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকের মধ্যে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে। ওখানকার বেশিরভাগ মানুষের টেলিভিশন দেখার সুযোগ নাই।

রাঙামাটির দুর্গম উপজেলার মধ্যে অন্যতম জুরাছড়ি উপজেলা। জুরাছড়ির দুর্গম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন দুমদুম্যা। দুমদুম্যা পুরো ইউনিয়নে বিদ্যুৎ নেই, মোবাইল ফোনেরও কোনও নেটওয়ার্ক নেই। সরকারি তথ্য বাতায়ন থেকে দুমদুম্যা ইউনিয়নে মেম্বারদের দেওয়া নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কারও ফোনে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নিজের ব্যক্তিগত কাজে রাঙামাটি শহরে অবস্থান করায় কথা হয় দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য সাপনেম পাংখোর সঙ্গে।

করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে এলাকার লোকজন কতটুকু জানেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার গ্রামের কিছু মুরব্বি আছে তারা কিছুটা জানতে পারেন, তবে সবার জানার সুযোগ নেই। কারণ আমার গ্রাম থেকে উপজেলায় আসতে পায়ে হেঁটে সময় লাগে একদিন। গ্রামের সবাই জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখেও না। আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে কোনও মানুষকে বললে তখন তারা জানতে পারবে। আবার গ্রামের কিছু কিছু পাহাড়ে ওপরে নেট পাওয়া যায় কারও জরুরি প্রয়োজন হলে সেখানে উঠে ফোনে আমাদের জানায়। এভাবে যোগাযোগ হয়।

তিনি আরও বলেন, এলাকার মানুষ একদিন ধরে পায়ে হেঁটে ভ্যাকসিন নিতে নাও আসতে পারে। কারণ, তারা সবাই জুম চাষ করে জীবিকা চালায়, একদিন কাজ না করলে তারা খাবে কী? গ্রামে গিয়ে যদি সরকার ভ্যাকসিন দেয় এবং মানুষকে আগ্রহ তৈরি করে তাহলে মানুষ ভ্যাকসিন নেবে।

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিন যে তাপমাত্রায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে যদি ওইসব দুর্গম এলাকায় নিতে হয় তাহলে নেওয়া সম্ভব কিনা সেটি স্বাস্থ্য অধিদফতর বুঝবে। আমিও চাই ওই সব সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় আসুক। যেসব এলাকাকে দুর্গম বলে বিবেচিত করা হয় তারা তো হাটের দিন উপজেলায় আসে তখনও চাইলে আমরা তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করবো এবং সেদিন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থাও রাখবো। তবে যেভাবে ইপিআই’র টিকা দেওয়া হ,য় সেভাবে এই মুহূর্তে এই টিকা দেওয়া মনে হয় না সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে আলাদা বোট ভাড়া করেও অনেককে আনা যাবে, যদি তারা টিকা নিতে আগ্রহী হয়। তবে এ বিষয়ে এত তাড়াহুড়ো না করলেও চলবে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

তারা শহরের জনসমাগম থেকে মোটামুটি বিচ্ছিন্ন থাকায় এক অর্থে সুবিধাজনক অবস্থানেও আছে। ওই এলাকাগুলো কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি, ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন পদ্ধতিতে হুট করে কেউ আক্রান্ত হবে এমন সম্ভাবনাও কম। করোনার প্রকোপও এখন শহরেও কমে গেছে।

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, যখন টিকা আরও সহজলভ্য হবে তখন ধীরে ধীরে সবার জন্য চেষ্টা করা যাবে।

জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অন্যন্যা চাকমা বলেন, আমরা ৫৬০ জনের জন্য ডোজ পেয়েছি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা গ্রহণের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছি।

শুরুতে হাসপাতালে বুথ বসিয়ে স্পটে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকলেও আপাতত সেটি বন্ধ। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ইপিআইয়ের টিকা কার্যক্রমে যখন গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন যেখানে মোবাইল নেট রয়েছে সেখানে তারা রেজিস্ট্রেশনও করে দিচ্ছেন। আর যেখানে নেট নাই তাদের উপজেলায় এসে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, স্পট রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হলেও দুর্গম উপজেলারগুলোর জন্য আমরা বিষয়টি শিথিল রেখেছি। বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বাঘাইছড়ির সাজেকের মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে পারবেন। প্রতি উপজেলায় এই বিষয়ে একটি কমিটি আছে, যারা প্রতিনিয়ত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন বিষয়ে সচেতন করছে এবং রেজিস্ট্রেশন করার ব্যাপারে প্রচারণা চালাচ্ছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই তারা উপজেলায় এসে কারো মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিলে আমরা টিকার ব্যবস্থা করে দেবো। অথবা প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্যসেবা কেন্দ্র আছে সেখানে গিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

আমাদের মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থকর্মীরা ইপিআই টিকা দিতে যখন যাচ্ছেন তখন তাদের করোনা ভ্যাকসিন নিতে সচেতন করছেন। একইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে আগ্রহী করছেন।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দানের বিষয়ে কোনও নির্দেশনা নেই। এ কারণে টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে হবে বলে জানান তিনি।

 

/টিটি/টিএন/
সম্পর্কিত
করোনা শনাক্তের হার ৮ শতাংশ ছাড়ালো
দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত
দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার নির্দেশ
সর্বশেষ খবর
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
রানা প্লাজা ধস: ১১ বছরেও শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
রানা প্লাজা ধস: ১১ বছরেও শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট