খুলনায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের ২১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার হয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। মহানগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল জানান, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপি মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ নগরীতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে।
গ্রেফতার নেতাকর্মীরা হলেন– সোনাডাঙ্গা থানার আব্দুল মজিদ, বাশির হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন বাবলু, মো. সুমন, শাহাজাহান শেখ ও ইউনুস মুন্সি; খালিশপুর থানার মিজানুর রহমান খোকন; দৌলতপুর থানার হায়দার আলী লাবু; খানজাহান আলী থানার শাহরিয়ার মাসুম ও শেখ জিয়াউর রহমান; ১৬নং ওয়ার্ডের হারুন মোল্লা; ১৮নং ওয়ার্ডের মোল্লা জাকির হোসেন ও গফ্ফার বিশ্বাস; ২৭নং ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলাম; ২৮নং ওয়ার্ডের মাসুদ খান বাদল; ২৯নং ওয়ার্ডের কবির বিশ্বাস; ৩১নং ওয়ার্ডের কামরুজ্জামান টুকু, বাবুল হোসেন ও আসাদুজ্জামান; ছাত্রদলের শামীম আশরাফ ও যুবদলের আলাউদ্দিন।
এদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধরপাকড়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পুলিশের এ ধরনের ধরপাকড়ে মোটেই আতঙ্কগ্রস্ত নয় বিএনপি। তবে নেতাকর্মীদের পরিবারের নারী সদস্যদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ মোটেই কাম্য নয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার লক্ষ্যে যখন আমরা কাজ করছি তখনই এই পুলিশি অভিযান।’
বিবৃতিদাতারা হলেন– মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, অ্যাভোকেট বজলুর রহমান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, অ্যাডভোকেট এসআর ফারুক, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
