নীলফামারীতে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মশিউর রহমান (৪০) নামের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ যাত্রী, তাদের মধ্যে অন্তত তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের সংগলশী কামারপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সবাই উত্তরা ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। সদর থানার এস আই পরিতোশ বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত মশিউর রহমান জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহতদের মধ্যে বেবী আকতার (২৮), শাহিনা বেগম (২৫) ও ইলিয়াস হোসেনের (২৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথামিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বর্তমানে সাত নারী শ্রমিকসহ আট জন শ্রমিক নীলফামারীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন- বানু বেগম (৩০), মাহমদুা বেগম (৩০), নুরনাহার (২৫), রোমানা বেগম (২৫), মোসলেমা (২৮), জেরিন (২০), রতন (৩৪) ও সোহেল রানা (২৫)।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকালের দিকে জেলা শহর থেকে ১২জন শ্রমিক নিয়ে একটি অটোরিকশা উত্তরা ইপিজেডের দিকে রওনা হয়। পথে ওই এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নাইটকোচ জিসা পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার যাত্রীরা সড়কে ছিটকে পড়েন এবং অটোরিকশাটি ধুমড়েমুচড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসাপাতালে নেন। পরে চিকিৎসক শ্রমিক মশিউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অমল রায় বলেন, শ্রমিক মশিউর রহমান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান।
নীলফামারী সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ধুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা এবং হাসপাতাল থেকে নিহত মশিউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নৈশ কোচটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়ের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।