রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে প্রবাসী শিক্ষার্থী তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতার (২০) মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। তবে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সোহেল মাহমুদ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকতেন তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতা (২০)। তিনি মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিক্ষার্থীর শরীরে ইনজুরি পেয়েছি। তাতে ধারণা করা হচ্ছে ওপর থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আমরা তার ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। ডিএনএ প্রোফাইল এর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলেও জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যরা দাফনের জন্য নিয়ে যায়। এর আগে দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য নিহত শিক্ষার্থীর লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে নিহত শিক্ষার্থী পরিবার দাবি করে আসছিল, ধানমন্ডির যে বাসায় শিক্ষার্থীসহ তার পরিবারের সদস্যরা ছিল সেই ভবনেরই বাসিন্দা আদনান নামে এক ছেলে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো। ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করে মেয়েটির পরিবার। তাদের ধারণা, মেয়েটিকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই কলাবাগান থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদনানকে পুলিশি হেফাজতে নেয়।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আদনান নামে এক ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কীনা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মেয়েটির পরিবারটি এখন পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করেনি।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ওই তরুণীকে বিল্ডিংয়ের পাশের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে গ্রিন রোডের গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগ