X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনমন্ত্রীর সামনেই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের তদন্ত দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
০৬ মার্চ ২০২১, ১৮:১০আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২১, ১৮:১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সামনে শুক্রবার (৫ মার্চ) দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনও তদন্ত কমিটি হয়নি। ওই ঘটনার জন্য বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলের পক্ষ এবং তার প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী এমএ আজিজ একে অপরকে দায়ী করেছেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনও মামলাও হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনা অনুসন্ধান করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইনমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেওয়া নিয়ে আইনমন্ত্রীর সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হন দলীয় নেতাকর্মীরা। একপক্ষে ছিলেন বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও তার কর্মী-সমর্থকেরা এবং অন্যপক্ষে ছিলেন মেয়রপ্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম আজিজসহ তার সমর্থকেরা। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যেই বেলা পৌনে ১১টায় আইনমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্ধারিত সভায় যোগদান করেন। পরে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারন করায় মন্ত্রী তার বক্তব্য অসম্পূর্ণ রেখেই সভাস্থল ত্যাগ করেন। পুলিশ দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের সময় মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় ঘটনা সম্পর্কে কসবা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজ বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীমহোদয়কে স্বাগত জানানোর জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন মেয়রের লোকজন। আমার সঙ্গে কারো কোনও দ্বন্দ্ব নেই। আমাকে হেয় করতেই পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় নিজেই দেখেছেন কারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে এ ঘটনায় বক্তব্য নেওয়ার জন্য কসবার পৌরসভার মেয়র এমরান জুয়েলকে পাওয়া যায়নি। তবে জুয়েলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, ‘কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল দুই থেকে তিন হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য উপজেলা চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজের সমর্থকেরা মেয়রের লোকজনের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দেন। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।’

এদিকে, মন্ত্রীর সামনে এমন ঘটনাকে লজ্জাজনক ও অনঅভিপ্রেত বলে আখ্যায়িত করেন উপজেলা সুজনের সভাপতি সোলেমান খান। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্ত অস্ত্র প্রদর্শন বা মহড়া কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। রাজনৈতিক কর্মীদের আরও সহিষ্ণু হওয়া উচিত।’

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঁইয়া জানান, অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় এলাকায় বিপুল সংক্ষক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও পক্ষই অভিযোগ করেনি। তাই এখনও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য: শনিবারের ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত দশটি মোটরসাইকেল। দফায় দফায় সংঘর্ষের কারণে কসবা পৌর এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি