X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঠিকাদার কোম্পানির অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ভবন, ধসের শঙ্কা

খুলনা প্রতিনিধি
০৬ মার্চ ২০২১, ২৩:৪১আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২১, ০১:৩৭

জিকে শামীমের জিকেবিপিএল ও ন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারস্ লিমিটেড কর্তৃক খুলনা প্রশাসনিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ কাজে অবহেলায় আশপাশের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশপাশের অধিকাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোম্পানির কোনও প্রতিকারের চেষ্টা নেই। বরং জিকে শামীমের প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ করলেও মিলছে না কোন প্রতিকার। সরকারি ভবন নির্মাণের দোহাই দেখিয়ে পার পেতে চায় তারা।

নিজ উদ্যোগে অনেকেই মেরামত করতে পারলেও অধিকাংশ বাড়ির মালিক পড়েছেন বিপাকে। খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন খুলনা প্রশাসনিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের আশপাশের ভবন মালিকরা। তারা সংবাদ সম্মেলনে যে কোন সময় ভবন ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে খুলনা প্রশাসনিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ কাজে ঠিকাদার কোম্পানির অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর পাশের আবাসিক ভবনের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মির্জাপুর রোডস্থ মালিকদের পক্ষে মাহনাজ পারভীন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যে কোনও বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আশপাশের ভবন যেন কোনও ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়ে ঠিকাদারের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরও যদি আশপাশের ভবনে ক্ষতি হয় তবে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানেরই নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়েকবারই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি ও সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সমাধান মেলেনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, খুলনা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টারের ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আশপাশের ভবনে যেন কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সতর্কতা ও সুবিবেচনার সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য- তারা কোনও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যে কারণে পাইলিংয়ের সময় সৃষ্ট কম্পন ও শব্দে পরবর্তীতে নির্মাণাধীন ভবন সংলগ্ন বাড়িগুলোতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়। প্রথম দফায় পাইলিংয়ের কাজ শেষ হলে নির্মাণাধীন ভবনের উত্তর দিকের বাসিন্দা জিএম আব্দুস সাত্তার প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সংস্কার করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে চলমান এই ভবন নির্মাণ কাজের জন্য সংস্কার বাড়িতে পুনরায় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যা আগের তুলনায় আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যে কোন সময় বাড়িটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হাই, এজাজ আহমেদ, সিরাজ উদ্দিন, তারিকুল ইসলাম, মো. আরিফুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন