X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং বেকারত্ব হ্রাস

রিয়াজুল হক
১৬ মার্চ ২০২১, ১৭:৪৪আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২১, ১৭:৪৪

রিয়াজুল হক
উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে। জিডিপি, জিএনপি কিংবা রিজার্ভ বৃদ্ধি, সবখানেই চোখে পড়ার মতো। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষিতের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কিছু করার থাকে না। ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আমাদের জমি, বসতভিটা। কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমেই কমে যাচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমার অবস্থান যেন আরও খারাপ। কৃষি, কেমিক্যাল ও ট্যানারি শিল্পে কোনও সতর্কতা অবলম্বন না করেই শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে কাজ করছে। আমাদের কৃষকরা কৃষিকাজে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। এতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে উৎপাদনের হারও কমে যাচ্ছে। ছোট এই দেশের বেকার সমস্যাও প্রকট। সকলেই চাকরি চায়। যে কারণে লেখাপড়া শেষ করে বেকার হয়েই অতিবাহিত করতে হচ্ছে সময়। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য শহরের পাশাপাশি প্রয়োজন গ্রামের টেকসই উন্নয়ন। এই উন্নয়নের অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে মানুষের বাঁচার ন্যূনতম প্রয়োজন, যেমন- খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষার প্রয়োজন মিটিয়ে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করা; যাতে গ্রামের সব মানুষ শহরের দিকে না আসে; সুষম ভূমি ব্যবহার এবং তা নিয়ন্ত্রণে সঠিক ব্যবস্থা আনা; আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ। এর ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।

আমরা এখনও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে, কৃষিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন। জমির গুণাগুণ বিচার-বিশ্লেষণ না করে বীজ ফেলেই ফসল উৎপাদন করা হবে, বিষয়টি এখন অনেকটা সেকেলে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা সবকিছুর জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা হচ্ছে। তবে লেখাপড়া না জানার কারণে অনেক কৃষক সেই গবেষণালব্ধ ফল গ্রহণ করতে পারছে না। জনসংখ্যার চাপে জর্জরিত আমাদের এই দেশে কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমেই কমে আসছে। এছাড়া কৃষি জমি খণ্ড-বিখণ্ড এবং তা সাধারণত ছোট আকারের। এছাড়া যৌথ পরিবার দিন দিন ভেঙে একক পরিবারে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে জমিগুলো আরও ক্ষুদ্রতর খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত না হওয়ার ফলে এখনও চাষাবাদ একটি অধিক শ্রমসাধ্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত। অতীতে যেসব পরিবার চাষাবাদের ওপর নির্ভরশীল ছিল বর্তমানে সে পরিবারগুলোর সন্তানেরা শহরে এসে চাকরি করছে এবং গ্রামে নগদ টাকা পাঠিয়ে তাদের সংসারের ব্যয় নির্বাহ করছে। তারা মনে করে চাষাবাদ একটি কষ্টকর এবং অসম্মানজনক পেশা। ছেলেমেয়েদের ইচ্ছায় এরূপ পরিবারের অভিজ্ঞ কৃষকেরা ধীরে ধীরে চাষাবাদ বাদ দিয়ে তাদের জমি বর্গাচাষের মাধ্যমে আবাদ করাচ্ছে। বেশিরভাগ বর্গাচাষি আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং নিরক্ষর। তাদের অধিকাংশেরই বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চাষাবাদ সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব রয়েছে। অপরিকল্পিত চাষাবাদের ফলে বর্গাচাষিদের অনেকেই বছরে একবার ফসল উৎপাদন করে আর্থিক অবস্থার একটু উন্নতি হলে পরের বছর বা পরবর্তী মৌসুমে ফসল উৎপাদনে অনীহা প্রকাশ করে। ফলে জমিটি পতিত রয়ে যায়। বর্তমানে কৃষক এবং বর্গাচাষিরা বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও থেকে কৃষি ঋণ গ্রহণ করলেও সেগুলো সুপরিকল্পনার অভাবে অনেক সময়ই সঠিকভাবে কৃষি কাজে ব্যবহার করতে পারে না। সাংসারিক অভাব-অনটন এবং পরিকল্পনার অভাবে অনেক সময়ই কৃষি ঋণের অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করে ফেলে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের ফলে অনেক সময় চাষিরা রবি মৌসুমে ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চাষাবাদে অনীহা দেখায়। ফলে জমি থেকে সঠিক পরিমাণ ফসল উৎপাদন অনেক সময়ই সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য জমি থেকে সঠিক পরিমাণ ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সুপরিকল্পিত চাষাবাদ, কৃষি ফসল উৎপাদনভিত্তিক শিল্প এবং কৃষক যাতে তার উৎপাদিত ফসলের প্রকৃত মূল্য পায় তার বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ। বাংলাদেশের দারিদ্র্য আজও ব্যাপক বিস্মৃত। মৌলিক খাদ্যশস্যের চাহিদা বাড়ছে শ্লথগতিতে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও দ্রুত সম্প্রসারণশীল শহরায়নের কারণে জনগণ এখন চাচ্ছে রকমারি উন্নতমানের এবং সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য। যা একজন ব্যক্তি কৃষকের জন্য সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব। প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিনির্ভর সাংগঠনিক বিনিয়োগ।

আমাদের দেশে বেশ কিছু খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানি, যেমন- আকিজ, স্কয়ার, এসিআই কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ করছে এবং দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মাফিক বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য বাজারজাত করছে। অনেক কোম্পানি কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি কৃষিপণ্য সংগ্রহ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কৃষি ফসল উৎপাদনে সরাসরি কোনও বড় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেনি। ব্যক্তি ও পারিবারিক উদ্যোগে কিছু কিছু ফলমূল ও সবজি উৎপাদন এলাকা গড়ে উঠলেও বৃহৎ পরিসরে গড়ে ওঠেনি কোনও সুপরিকল্পিত কৃষি ফসল উৎপাদনমুখী ফার্ম। ফলে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের কৃষক এবং বর্গাচাষিরাই ভরসা যাদের উৎপাদনের হার কম।

কৃষি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় যে এলাকার জন্য যে ফসল উপযোগী সেসব এলাকায় বড় বড় ফার্মের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কৃষি ফসল উৎপাদন করা হয়। তথ্যমতে, আমেরিকার মোট কৃষি ফার্মের সংখ্যা ২০,২৩,৪০০টি, যাদের প্রতিটির গড় জমির পরিমাণ ৪৪৪ একর। মোট ফার্ম সংখ্যার মধ্যে যেমন ১০০০ একর বা তার অধিক আকারের বৃহৎ ফার্ম রয়েছে, তেমনি ১-৯ একর জমির ক্ষুদ্র ফার্মের পাশাপাশি ১০-১০০০ একর জমির মাঝারি আকারের ফার্মও রয়েছে। আমাদের দেশে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রতিটি উপজেলায় মাটির গুণগত মান পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী কৃষকদের ফসল উৎপাদনে পরামর্শ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কৃষকরা এখান থেকে সুবিধা নিতে অভ্যস্ত নয়। তারা তাদের চাহিদা মোতাবেক অধিকাংশ এলাকায় খাবারের জন্য ধান এবং জ্বালানির প্রয়োজনে পাট চাষে অভ্যস্ত হয়ে আছে। বর্তমানে ব্যক্তিপর্যায়ে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন শাকসবজি ফলমূল আবাদও পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দেশে কৃষিশস্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে পরিকল্পিতভাবে মাটির গুণাগুণ অনুসারে খণ্ড খণ্ড জমিগুলো এক করে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে এবং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি হবে। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণও অনেকাংশে সহজ হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এলাকায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমি লিজ নিয়ে যেমন বড় বড় মৎস্য খামার গড়ে উঠেছে, তেমনই অন্যান্য এলাকায়ও এরূপ উদ্যোগ গ্রহণ করে কৃষি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। একই এলাকার আশপাশের খণ্ড খণ্ড জমির মালিকদের নিয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতি গঠন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের কৃষি ফার্ম গঠন করে সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যেতে পারে। জমির মালিকদের নিকট থেকে বছরভিত্তিক লিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত কোনও সমবায় সমিতির মাধ্যমে কৃষি ফার্ম গঠন করা যায়। নতুন নতুন এনজিও এবং কোম্পানি প্রতিষ্ঠাপূর্বক তাদের মাধ্যমে কৃষি ফার্মভিত্তিক চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অনেক সহজ হবে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী জমি লিজ হতে প্রাপ্ত অর্থের পাশাপাশি এসব ফার্মে কাজ করে অর্থ উপার্জনও করতে পারবে। ফার্মের কাজের বাইরে বাকি সময়ে নিজের কাজ করলে অর্থনীতিতে ছদ্মবেশী বেকারের হারও হ্রাস পাবে। তবে এনজিও এবং কোম্পানিগুলো যাতে জবরদখল করে কৃষকদের জমি না নেয় এবং সময়মতো লিজের টাকা পরিশোধ করে সে বিষয়ে প্রশাসনিক কঠোর আইন ও তার বাস্তব প্রায়োগিক দিক সুনিশ্চিত করতে হবে। কৃষি ফার্মে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণের পাশাপাশি বৃহৎ ফার্মে বা কয়েকটি ছোট ছোট ফার্ম কেন্দ্রিক একজন করে কৃষিবিদ নিয়োগ করলে ফার্মভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা কৃষি খাতকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে। ফলে কৃষি কাজের সামাজিক মর্যাদাও বাড়বে এবং শিক্ষিত বেকার শ্রেণিকে চাকরি হিসেবে কৃষি খাতে নিযুক্ত করা সম্ভব হবে। কারণ একজন শিক্ষিত বেকার মাঠে চাষাবাদের বদলে একই কাজ প্রতিষ্ঠিত কৃষি ফার্মে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। ফার্মে জনসাধারণের কর্মসংস্থানের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি হবে এবং নগরায়ন সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি এসব ফার্মে ঋণ প্রদানপূর্বক কার্যকর কৃষি ঋণের পরিমাণও অনেকগুণ বাড়াতে পারবে।

আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যে, আমাদের পাশের দেশগুলোতে অনেক কৃষি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তারা সেখান থেকে মুনাফাও করছে। আমাদের দেশের জমির মালিক পক্ষ, ফার্ম পরিচালনাকারী কোম্পানি বা এনজিও, প্রশাসন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সমন্বয় করে কৃষি ফার্ম গঠন কিছুটা কষ্টসাধ্য হলেও উদ্যোগ গ্রহণ করলে সেটা অবশ্যই সম্ভব। একইসাথে, অবশ্যই সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এরূপ কয়েকটি কৃষি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়ে লাভের মুখ দেখলে বড় এবং মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠান কৃষি ফার্মভিত্তিক বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। সময়ের প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষিত বেকারত্ব হ্রাসে কৃষি প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জিডিপিতে কৃষির অবদান আরও বৃদ্ধি সম্ভব। কৃষি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এবং বেকারত্বের হারও হ্রাস পাবে। এর ফলে, গ্রামের আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটসহ সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। গ্রামের মানুষ যখন নিজের গ্রামেই ভালো মানের চাকরি পেয়ে যাবে, তখন নিশ্চিতভাবেই তারা আর শহরের দিকে আসবে না। গ্রামের উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের সুষম উন্নয়ন সম্ভব। আর গ্রাম উন্নয়নের জন্য কৃষি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাসও সম্ভব।

লেখক: অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ