পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৭.৫০ শতাংশ নগদসহ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া নিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) জারি করা সার্কুলারটি দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার সুযোগ ছিল। নতুন সিদ্ধান্তে ব্যাংকগুলো ১৭.৫০ শতাংশ নগদ দিতে পারবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে ১৭.৫০ শতাংশ নগদসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয়, বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনও ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যেসব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫.০% শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৭.৫০ শতাংশ নগদসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
এর আগে গত সোমবার (১৪ মার্চ) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ বৈঠক শেষে আগের চেয়ে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই (নন ব্যাংক) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।