X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের নারকীয় গণহত্যা ফাঁস করেছিলেন যে ‘গাদ্দার সাংবাদিক’

জাহিদুল ইসলাম জন
১৭ মার্চ ২০২১, ০০:২৬আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২১, ১৩:০৬

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নিয়ে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) আসেন দেশটির কয়েকজন সাংবাদিক। সেনা তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও কুমিল্লার বেশ কয়েকটি স্থান তাদের ঘুরে দেখানো হয়। দশ দিনের সফর শেষে তাদেরকে বলা হয় ‘অ্যাসানমেন্ট’ অনুযায়ী প্রতিবেদন লিখতে। কেবল একজন সাংবাদিকের মনে হয়েছিল, বাংলাদেশে দেখে যাওয়া প্রকৃত পরিস্থিতি প্রকাশ করতে না পারলে সারাজীবন গ্লানি বয়ে বেড়াতে হবে তাকে। পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরিবারসহ লন্ডনে চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ফাঁস করে দেন। আর এই কাজ করে পাকিস্তানে গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক আখ্যা পাওয়া এই মহান মানুষটি হলেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।

১৩ জুন, ১৯৭১। যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ম্যাসকারেনহাসের সেই প্রতিবেদন। সম্পাদকীয় পাতার দুই পৃষ্ঠা জুড়ে ছাপা হয় সেই প্রতিবেদন, সঙ্গে ছিল বিশাল হরফের শিরোনাম- জেনোসাইড। এক শব্দের সেই শিরোনামেই প্রথমবারের মতো ফাঁস হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার ব্যাপকতা।

‘আবদুল বারির সময় ফুরিয়ে আসছিলো। পূর্ব বাংলার হাজার হাজার মানুষের মতো তিনিও ভুল করে ফেলেছিলেন- প্রাণঘাতী ভুল- পাকিস্তানি টহল দলের সামনে দিয়ে দৌঁড় দিয়েছেন। ২৪ বছরের ছোটখাটো মানুষটিকে ঘিরে ফেলে সেনা সদস্যরা। তিনি কাঁপছিলেন কারণ তাকে গুলি করে দেওয়া হবে।

এভাবেই শুরু হয়েছিলো গত অর্ধ শতাব্দির মধ্যে দক্ষিণ এশীয় সাংবাদিকতার সবচেয়ে প্রভাবশালী ওই প্রতিবেদনটি। এর লেখক ছিলেন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেই প্রতিবেদন। বিশ্ব জনমতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিতে এবং ভারতকে মুক্তিযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহ যোগায় প্রতিবেদনটি। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সানডে টাইমসের তৎকালীন সম্পাদক হ্যারল্ড ইভানসকে বলেছিলেন, ওই প্রতিবেদনটি তাকে এতটাই হতবাক করে দেয় যে ‘তিনি ভারতের সশস্ত্র হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাজধানী ও মস্কোতে ব্যক্তিগত কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন’

 

১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল মাসকারেনহাস যখন ঢাকায় পৌঁছান তখন তার উদ্দেশ্য ছিলো পূর্ব বাংলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে- সেই বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করা। হ্যারল্ড ইভানস তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন খুব ভালো একজন রিপোর্টার যে সততার সঙ্গে নিজের কাজ করেছিলো’

অ্যান্থনি মাসকারেনহাস পরবর্তীতে তার ‘দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থে লিখেছেন ঢাকায় পৌঁছানোর পরের দশ দিনে ১৬তম পাকিস্তান আর্মি ডিভিশনের সদর দফতর কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থান সফর করেন। সেই সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নারকীয় গণহত্যা সংগঠনের শরীর শিউরে ওঠা রুপ প্রত্যক্ষ করেন। ওই বইয়ের ভূমিকায় আরও লিখেছেন যা দেখেছিলেন তাতে তারা সবাই শিউরে উঠেছিলেন। কিন্তু পরে তার সহকর্মীরা তা অস্বীকার করেন।

অ্যান্থনি মাসকারেনহাস লিখেছেন, ‘পূর্ব-বাংলায় আমি যা দেখেছি, হিটলার বা নাৎসিদের অমানবিক অত্যাচারের কথা যা পড়েছি, তার চেয়েও ভয়াবহ মনে হয়েছে, আর সেই অত্যাচার আমার দেশের মানুষের ওপর ঘটেছে।’ সিরাজুল ইসলামের অনুবাদে দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ গ্রন্থে মাসকারেনহাস লিখেছেন, ‘আমি জানতাম পূর্ব বাংলার এই দুর্বিষহ যন্ত্রণার কথা আমাকে বিশ্ববাসীর কাছে বলতেই হবে। তা না হলে সারা জীবন এ মানসিক যন্ত্রণার বোঝা অপরাধীর মতো আমাকে বইতে হবে।’

সেই সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে তার স্ত্রী ইভোন মাসকারেনহাস ২০১১ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্বামীকে আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়তে কোনও দিন দেখিনি। খুবই ক্ষুব্ধ, চিন্তিত, বিষণ্ণ আর আবেগী ছিলেন তিনি।‘ তিনি বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন আমি যা দেখেছি, সেটা যদি লিখতে না পারি, তাহলে আর কখনওই অন্য কোনও কিছু লিখতে পারবো না।‘

অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যখন এই সিদ্ধান্ত নেন তখন পাকিস্তানে চলছে সেনা শাসন। প্রোপাগান্ডা বিভাগের মতো করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত প্রচারের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের মানুষ বিশ্বাস করে নিয়েছে পূর্ব বাংলায় যা কিছু ঘটছে তা ‘ভারতীয় দুষ্কৃতকারীদের’ দমন করার ব্যবস্থা নিতে করছে ‘দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী’। এমন একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হলে এর আগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে যেতে হবে বলে বুঝতে পেরেছিলেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। কারণ ওই সময়ে সংবাদমাধ্যমের সব প্রতিবেদনই সেন্সর করতো সেনাবাহিনী। মাসকারেনহাস তার স্ত্রীকে বলেছিলেন এই প্রতিবেদন যদি তিনি প্রকাশের চেষ্টা করেন তাহলে তাকে গুলি করে মারা হবে।

ইভোন মাসকারেনহাস তার স্বামী সম্পর্কে বিবিসিকে বলেন,‌ ‘তার মা তাকে সবসময় ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে এবং সত্য বলতে শিখিয়েছিলেন। তিনি প্রায়ই আমাকে বলতেন, আমার সামনে পাহাড় দাঁড় করিয়ে দাও আমি পেরিয়ে যাবো। তিনি কখনওই ভয় পেতেন না।’

প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসুস্থ বোনকে দেখার অজুহাত দেখিয়ে লন্ডনে চলে যান মাসকারেনহাস। লন্ডনে পৌঁছে সরাসরি চলে যান সানডে টাইমসের সম্পাদকের কার্যালয়ে। ওই সময়ে পত্রিকাটির পাকিস্তান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুবাধে সম্পাদক হ্যারল্ড ইভানস-এর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেই সাক্ষাতের বর্ণনা দিয়ে ইভানস লিখেছেন, ‘একজন সামরিক কায়দার মানুষ সামনে এসে দাঁড়ালো, চৌকষ আর গোফ ওয়ালা কিন্তু আবেদনময়, গভীর দৃষ্টি আর নিবিড় যন্ত্রণায় বিদ্ধ এক মানুষ।’

মাসকারেনহাস তার বইয়ে জানাচ্ছেন, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লন্ডনে পৌঁছে পত্রিকাটির কার্যালয় টমসন হাউজে প্রবেশের প্রথম ৪০ মিনিটের মধ্যে তারা তার কথা শুনলেন, গ্রহণ করলেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি পাকিস্তানে ফিরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসার জন্য তৈরি হলাম।’ সম্পাদকের সঙ্গে মাসকারেনহাসের ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ইভোন ও তার সন্তানদের একটি সাংকেতিক টেলিগ্রাম পাঠানো হবে। তাতে লেখা হবে, ‘অ্যানের অপারেশন সফল হয়েছে’।

পরদিন ভোর তিনটার সময় ওই টেলিগ্রামটি পাওয়ার কথা বর্ণনা করে ইভোন বলেন, শুনলাম টেলিগ্রামওয়ালা জানালায় টোকা দিচ্ছে আমি ছেলেদের ডেকে তুললাম মনে মনে বললাম: হায় ঈশ্বর আমাদের লন্ডন যেতে হবে। ‘ভীতিকর অবস্থা। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে কেবল একটা করে স্যুটকেস নিতে পেরেছিলাম। এত বেশি কাঁদছিলাম যেন শেষকৃত্যে যাচ্ছি।‘

সন্দেহ এড়াতে পরিবার লন্ডনে রওনা হওয়ার আগে পাকিস্তান ফিরে আসেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। ওই সময়ে পাকিস্তানি নাগরিকেরা বছরে একবার বিদেশ সফরের সুযোগ পেতেন। ফলে পরিবার লন্ডনে রওনা দেওয়ার পর গোপনে স্থল সীমান্ত পার হয়ে আফগানিস্তানে ঢুকে পড়েন মাসকারেনহাস। সেখান থেকে লন্ডনে যান তিনি।

লন্ডনে যেদিন পরিবারটি মিলিত হয় তার পরদিনই সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘গণহত্যা’ শিরোনামের সেই বিখ্যাত প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি খুবই শক্তিশালী হয়েছিল, কারণ পাকিস্তানি কর্মকর্তারা মাসকারেনহাসকে খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করেছিলো আর তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছিলেন তিনি।

‘আমি সামরিক ইউনিটগুলোর হত্যা আর পোড়ানোর অভিযান নিজে দেখেছি। বিদ্রোহীদের তাড়িয়ে দেয়ার পর শহর আর গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেখেছি।

আমি শাস্তিমূলক অভিযানে পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছি।

রাতের বেলায় অফিসার্স মেসে কর্মকর্তাদের সারাদিন ধরে হত্যাযজ্ঞ চালানো নিয়ে সাহসের গল্প করতে শুনেছি।

আপনি কতজনকে মেরেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমার এখনও মনে আছে।’

এগুলো ছিলো সেই প্রতিবেদনের অংশ। আর কী দেখেছিলেন মাসকারেনহাস? রেইপ অব বাংলাদেশ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, কুমিল্লার ১৬তম আর্মি ডিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে আমাকে অভদ্রভাবে বলা হয়, ‘বিচ্ছিন্নতার হুমকি থেকে রক্ষা করার উদ্দেশে পূর্ব পাকিস্তানকে চিরদিনের জন্য পবিত্র করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেজন্য যদি ২০ লাখ লোককে হত্যা করতে হয় এবং প্রদেশটিকে ত্রিশ বছর ধরে উপনিবেশ হিসেবে শাসন করতে হয়, তবুও।’

মাসকারেনহাস একই বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি স্থানীয় সামরিক আইন প্রশাসকের হাতে বিস্ময়কর আকস্মিকতার সঙ্গে একটি পেন্সিলের খোঁচায় মৃত্যুদণ্ড দিতে এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরেকজন হতভাগ্যকে চিহ্নিত করতে দেখেছি। রাতে সেনাবাহিনীর মেসে তথাকথিত সম্মানি ব্যক্তিদের দিনের বেলায় যে হত্যাকাণ্ড তারা চালিয়েছে সে সম্পর্কে রসিকতা করতে এবং কে কত বেশি সংখ্যক বাঙালি হত্যা করেছে তা নিয়ে নগ্ন প্রতিযোগিতার আলাপ করতে শুনেছি।’

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। লিখেছেন, ‘বিকেল ৬টায় সান্ধ্য আইন জারির কিছুক্ষণ আগে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে এক খৃষ্টান ও তার তিন সহযোগীকে রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটিয়ে সার্কিট হাউজের আঙিনায় আনা হলো। কয়েক মিনিট পর আমি তীব্র আর্তনাদ ও হাড়মাংসের ওপর লাঠির ক্ষিপ্ত আঘাতের শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর আর্তনাদ বন্ধ হলো। যেন সুইচ টিপে তা বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমার যন্ত্রণাজড়িত কানে শুনতে পেলাম, সেই নীরবতা হঠাৎ করে বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র আওয়াজে পরিণত হলো। সেই আওয়াজ লাখ লাখ বার প্রতিধ্বনিত হয়েছে আর তা এখনও আমার কানে বাজছে। আধঘণ্টা পর আমি যখন তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করছি তখন শুনতে পেলাম জোয়ানরা হৈ চৈ করে তাদের রাতের খাবার খাচ্ছে।’

পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে ওই প্রতিবেদন এবং এসব লেখা ছিলো বড় আকারের বিশ্বাসঘাতকতা। তাকে শত্রু এজেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। মাসকারেনহাসের বর্ণিত সৈন্যদের নৃশংসতা এখনও অস্বীকার করে পাকিস্তান আর একে ভারতীয় প্রচারণা বলে দাবি করে। তবে তারপরও পাকিস্তানে চমৎকার সব যোগাযোগ রেখে গেছেন তিনি। আর ১৯৭৯ সালে প্রথম পাকিস্তানি সাংবাদিক হিসেবে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কথা ফাঁস করে দেন। ১৯৮৬ সালে লন্ডনে মারা যান এই সাংবাদিক। তবে বাংলাদেশে এখনও তাকে খুব সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা হয় আর তার প্রতিবেদন এখনও দেশটির মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়।

/বিএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগ
ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা