X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

যে তারকাদের সেলফোন নেই!

ফয়সল আবদুল্লাহ
১৭ মার্চ ২০২১, ১৬:৫৬আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৬

সুমন যদি ‘তোমাকে চাই’ গানটা এখন লিখতেন, তবে নির্ঘাত সেলফোন বা মুঠোফোনকেই চাইতেন বারবার। রাতভোর হলে, বিকালের আড্ডায়, সন্ধ্যের অবকাশে... মুঠোফোন চাই। কিন্তু হায়, বিস্ময়কর তথ্য এই- বিশ্বের বেশ ক’জন নামজাদা তারকা কিনা পাত্তাই দিচ্ছেন না এই দরকারি যন্ত্রটিকে। উল্টো এটির প্রতি তাদের রয়েছে দারুণ উন্নাসিকতা। কারা তারা-

জাস্টিন বিবার, টম ক্রুজ, শায়েলিন উডলি ও এড শিরান জাস্টিন বিবার
বিশ্ব তারুণ্যের পপ আইকন জাস্টিন বিবার স্পষ্ট ভাষায় জানান, একটা সময় তিনি সেলফোন ব্যবহার করলেও এখন আর সেটির কোনও অস্তিত্ত্ব নেই। কারণ, এটিকে ব্যালেন্স করা তার জন্য কষ্টকর। তবে তার জরুরি কাজগুলো সারার জন্য সহযোগিতা নেন ট্যাব-এর।

এড শিরান
ফোন ছুঁড়ে ফেলে বিখ্যাত হয়েছেন মার্কিন এ গায়ক। টানা এক বছর থেকেছিলেন যথাসম্ভব অফ-গ্রিডে। তবে যোগাযোগের জন্য ই-মেইলের একটা ব্যবস্থা ছিল বৈকি।

টম ক্রুজ
কখনও তার ফোন নাম্বার পাবেন, এমন আশা ছেড়ে দেওয়াই ভালো। ষাট ছুঁই ছুঁই এ যুবকের কখনও সেলফোন রাখার প্রয়োজনই পড়েনি। ফোন না রাখার বিশেষ কোনও কারণও নেই। আশপাশে এত লোকজন থাকে যে, ওরাই টমের যাবতীয় কল ম্যানেজ করে।

শায়েলিন উডলি
ফোন না রাখার পেছনে কঠিন যুক্তি আছে ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’-খ্যাত এ তারকার। শায়েলিন উডলি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজেকে কিছুতে বেঁধে রাখতে চান না বলেই সেলফোন রাখেন না। তা ছাড়া বাস্তবের সামাজিক যোগাযোগের প্রতি তার বাড়তি ভালোবাসা আছে বলেই ডিজিটাল সামাজিকতার ভার্চুয়াল জগতে পা মাড়ান না তিনি।

সারাহ জেসিকা পারকার, সাইমন কাওয়েল, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও এলটন জন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের উজ্জ্বল এই তারকাকে অসংখ্য চরিত্রে দেখা মিলেছে মোবাইল ফোন হাতে বিরোধী শিবির কাঁপিয়ে দিতে। অথচ বাস্তবে তিনি পুরোটাই বিপরীত! অভিনেতা জানান, যোগাযোগের জন্য তার একমাত্র মাধ্যম একটি ল্যান্ডফোন।

সাইমন কাওয়েল
রিয়েলিটি ট্যালেন্ট হান্ট শো-এর জনপ্রিয় মুখ মিউজিক মোগল-খ্যাত সাইমন কাওয়েলের উত্তরটা বেশ সাদাসিধে। ফোন না রাখার সিদ্ধান্তটা খুব সাদামাটা, ‘আমি চাই না প্রতিদিন সকালে একগাদা মেসেজের শব্দে আমার ঘুম ভাঙুক।’

এলটন জন
বিশ্বখ্যাত পপ-রক তারকা স্যার এলটন জনও একই পথের পথিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নিয়মিত উপস্থিতি দেখা গেলেও, তিনি কোনও সেলফোন ব্যবহার করেন না বলে জানান। আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার আইডিগুলো পরিচালনা করেন স্বামী ডেভিড ফার্নিশ ও ব্যক্তিগত স্টাফরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডে সমকামী বিবাহ বৈধ করা হয়। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর এলটন জন ও কানাডার চিত্রপরিচালক ডেভিড ফার্নিশ নবম সিভিল পার্টনারশিপ বার্ষিকীতে ঘটা করে বিয়ে করেন।

সারাহ জেসিকা পারকার
এইচবিও’র ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’-খ্যাত সারাহ জেসিকা পারকার বেশ ফ্যাশন সচেতন। তবে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে সেলফোনকে কখনোই স্থান দেননি তিনি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য