X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ওএমএসের চালের

নীলফামারী প্রতিনিধি
১৮ মার্চ ২০২১, ২১:০৫আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২১, ২১:০৫

বাজারে চাল ও আটার দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ওএমএসের ডিলারের (পরিবেশকের) কাছে। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই অসহায় দরিদ্র মানুষের। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পরিবেশকরা ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জেলা শহরের মিশন হাড়োয়া এলাকার আব্দুল করিম (৫৫) বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত লাইনে থেকে পাঁচ কেজি চাল তুললাম। বাজারে চালের যে দাম তা কেনার সামর্থ্য নেই। এক কেজি মোটা চালের দাম ৫২ টাকা। পরিবারে প্রতিদিন চাল লাগে তিন কেজি। যার মূল্য ১৫৬ টাকা। এদিকে, কাঁচা বাজার তো আছেই। করোনা কালে রোজগার কমে যাওয়ায় ওএমএসসের চাল কেনা ছাড়া কোনও উপায় নেই।’

একই এলাকার শফিয়ার রহমানের স্ত্রী সাহার বানু (৩০) বলেন, ‘করোনার সময় চালের এত দাম ছিল না। এখন ৪২ টাকার চাল ৫০-৫২ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। কাম-কামাই নাই, কিন্তু চালের দাম বেশি। চাল কিনলে, আলু মরিচ পেঁয়াজ ও সবজি কিনার টাকা থাকে না। অভাবে পড়ি লাইন খাটি চাউল নিবার লাগছে। তাও পাওয়া যায় না। ডিলারের গালাগালি আর অপমান সহ্য করি পেটের দায়ে কম দামে চাল কিনতে হচ্ছে। সরকার যদি বেশি বেশি করে বরাদ্দ দিত তাহলে গরিব মানুষের উপকার হতো।’

জেলা শহরের নিউ বাবুপাড়ার শাকিল আহমেদ (৩৪) বলেন, ‘এখন বাজারে ধানের দামও বেশি, চালের দামও বেশি। সামনে রোজা, এই সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বাজার মনিটারিং না থাকায় ধান-চালের দাম বেড়েই চলছে। কপালে থাকলে লাইনের চাল পাওয়া যায়। নইলে আটা নিয়ে বাড়ি যেতে হয়।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি থেকে নীলফামারী জেলা শহরে ১৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এক হাজার মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন পাঁচ জন ডিলার নিজ নিজ পয়েন্টে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন এক টন করে আটা-চাল বিক্রি করতে পারেন তারা।

জেলা শহরের নিউ বাবুপাড়ার মাখামাছা বাজারের ওএমএস ডিলার মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘গত এক মাস থেকে বাজারে চালের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতে প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চাল নিতে আসেন শত শত গরিব মানুষ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে চাল-আটা দেওয়া যায় না। এক টন চাল আর এক টন আটা নিমেষে ফুরিয়ে যায়।’ তাই এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘জেলা শহরে প্রতিদিন পাঁচ জন করে ডিলার আটা-চাল বিক্রি করে থাকেন। শহরে ডিলার রয়েছে ১৫ জন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে চালের পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আটা প্রতিদিন এক টনই বরাদ্দ থাকবে। আশা করি, কেউ ওএমএসসের চাল-আটা কিনতে ভোগান্তিতে পড়বেন না।’

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী