X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

একবার যদি ভেঙে পড়ে...

আব্দুর রউফ পাভেল, নওগাঁ
০১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২২আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২২

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই- দুই উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাকে এখনও চড়তে হচ্ছে নড়বড়ে এক বাঁশের সাঁকোতে। প্রতিদিন এই একটি সাঁকোতে পার হচ্ছে চার-পাঁচ হাজার গ্রামবাসী। এত এত মানুষের ভারে সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়াটা যেন সময়ের ব্যাপার। অথচ এখানে একটি সেতুর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। বারবার শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হয়েছে। কাজ শুরুর লক্ষণ নেই এখনও।

যমুনা ভাগ করেছে জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাকে। নদীর পূর্বে রাণীনগর উপজেলার গোনা, কাশিমপুর ও আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদ এবং পশ্চিমে কালিকাপুর, হাটকালুপাড়া, বড় বিহানলী ও রাজশাহী জেলার বাগমারা ইউনিয়ন পরিষদ। মাঝে ভূপনার ঘাট।

সরেজমিনে দেখা গেল, এই ঘাট দিয়ে রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, ভবানীপুর, মির্জাপুর, মিরাপুরসহ প্রায় ৪৫টি গ্রাম এবং আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম, হরপুর, বাউল্লা, তারানগর, শৈলিয়া, লালুয়া, গোন্ডগোহালীসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা নদী পারাপারে শুকনো মৌসুমে সাঁকো আর বর্ষায় নৌকা ব্যবহার করছে।

‘শহরে অনলাইনে ক্লাস হয়। মেট্রোরেল হয়, ওভারব্রিজ হয়। আর আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সমস্যা তো আছেই, কৃষকরাও তাদের ফসল নিয়ে অন্যপারে ঠিকমতো যেতে পারছে না। যার কারণে ফসলের দামও পায় না। একটি সেতুর জন্য এতদিন ধরে বসে আছি আমরা। হাজার হাজার মানুষের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না।’ ক্ষোভের সঙ্গে এমনটাই জানালেন মালঞ্চির বাসিন্দা মো. আলতাফ হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনে অন্তত চার-পাঁচ হাজার মানুষ চলাচল করে এই সাঁকো দিয়ে। বৃষ্টিতে পানি বেড়ে গেলে বসে থাকতে হয় নৌকার জন্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াও শত শত শিক্ষার্থীকে এই সাঁকো পার হয়ে যেতে হচ্ছে স্কুলে।

রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রামের বাসিন্দা সুলতান বলেন, ‘বাপ-দাদাদের তো গেলো, এখনকার ডিজিটাল প্রজন্মের জীবনও কাটছে সাঁকো চড়ে।’

ভবানীপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘শুকনো-বর্ষা, দুই মৌসুমেই এই নদী পার হওয়া মানে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। ছোট-বড় দুর্ঘটনা কিন্তু লেগেই আছে।’

আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নওগাঁ-৬ আসনের প্রয়াত সাংসদ ইসরাফিল আলমের সময় এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার ঘাটে এসে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে গিয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরুর লক্ষণ নেই। এই বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম বলেন, এই বিষয়ে নতুন করে একটি কর্মপরিকল্পনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে।

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি: প্রধানমন্ত্রী
খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি: প্রধানমন্ত্রী
মননের প্রথম আইএম নর্ম, হাতছানি জিএম নর্মের
মননের প্রথম আইএম নর্ম, হাতছানি জিএম নর্মের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার হুমকি আব্বাসের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার হুমকি আব্বাসের
টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে ১২৫ রান করে হায়দরাবাদের বিশ্ব রেকর্ড!
টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে ১২৫ রান করে হায়দরাবাদের বিশ্ব রেকর্ড!
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, পারদ উঠতে পারে আরও
দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, পারদ উঠতে পারে আরও