সরকারঘোষিত বিধি-নিষিধের আজ চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় স্বাভাবিক রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে সকালের অফিস সময় শেষ হওয়ার পর অধিকাংশ পরিবহনে তেমন একটা যাত্রী দেখা যাচ্ছে না। পরিবহন চালকরা বলছেন, মানুষ একান্ত বাধ্য না হলে গণপরিবহনে উঠছে না। করোনার কারণে তারা গণপরিবহন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। এ কারণে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
সকালে অফিস সময়ের আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি পরিবহনেই পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী রয়েছেন। তখন কোনও কোনও পরিবহনকে প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা গেছে। কিন্তু সকাল ১০টার পর এই চিত্র উল্টে যায়। অর্ধেক আসান ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহনের পরও এর অর্ধেক ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম রোড থেকে কালারপাড়া রুটে চলাচলরত মনজিল এক্সপ্রেসে ৭-৮ জন যাত্রী রয়েছেন। এ সময় বাস থেকে নেমে ডাকাডাকি করে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করেন হেলপার সমির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম রোড থেকে বাস ছেড়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখেও বাস পূর্ণ করতে পারিনি। যাত্রী নেই বললেই চলে।’
খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় কথা হয় মিডওয়ে পরিবহনের চালক নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকালে অফিস শুরুর আগে ও বিকালে অফিস শেষ হওয়ার কিছু সময় পর যাত্রী পাওয়া যায়। আর পুরো সময় অর্ধেকের মতো যাত্রী নিয়ে চলতে হয়। মানুষ রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল বেশি ব্যবহার করছে। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারা তা ব্যবহার করছে। আর অধিকাংশ সরকারি অফিসের স্টাফবাস রয়েছে। যে কারণে আমরা যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না।’
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ফকিরাপুল, কাকরাইল, মৎস্যভবন, মগবাজার মোড়, বাংলামোটর, কাওরান বাজার, সার্ক ফোয়ারা, পান্থপথ, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকার ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে তেমন একটা যানজট দেখা যায়নি। যাত্রীর অভাবে অধিকাংশ মোড়ে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। লকডাউনের প্রথম তিন দিনের তুলনায় আজ চতুর্থ দিন সড়েকের চিত্র এটি।
মগবাজার মোড়ে কথা হয় লাব্বাইক পরিবহনের হেলপার কাউছার উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে যাত্রী পাই। তখন সব যাত্রীকেই বাসে উঠিয়ে ফেলি। আবার কিছুক্ষণ পর দেখি পুরো বাস ফাঁকা। আসলে কখন যাত্রী হবে আর কখন হবে না এটা বলা কঠিন। তবে অফিস আওয়ারে ছাড়া আমরা যাত্রী বেশি পাই না।’