পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশকে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের মতো বানিয়ে ধ্বংস করতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। তাদের হুঁশিয়ারি দিতে চাই, এ দেশকে কোনও দিনই ইরাক, সিরিয়ার মতো বানানো যাবে না।’
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানে ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে না পেরে, দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রকারী এ কুচক্রীমহলকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। কোনও অবস্থায়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নকে ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
পরিবেশ মন্ত্রী উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষকদের বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখবে। কোনও কৃষিজমি পতিত রাখা যাবে না। সারাবছর ধান, আলু, ডালসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল ফলাতে হবে। এতে নিজের পাশাপাশি দেশেরও মঙ্গল হবে। করোনাভাইরাসের মহামারি কালে সবাইকে মাস্ক পরিধান, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ২০২০-২১ অর্থবছরে খরিফ-১/২০২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বড়লেখা উপজেলায় ১৬০০ জন এবং জুড়ী উপজেলার ১৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রত্যেককে বিনামূল্যে এক বিঘা আউশ ধান চাষের জন্য ৫ কেজি আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট), ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।