করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ালো। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১০ হাজার ৮১ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শেষের এক হাজার রোগী মারা গেছেন গত ১৫ দিনে।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি মানুষের চলাচল হবে, তত বেশি সংক্রমণ বাড়বে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য জেলাগুলোতে আন্তঃচলাচল কম করতে হবে, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া যাবে না। আর সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত জায়গায় লকডাউন হলে সংক্রমণের হার কমবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দেশটির নাগরিকদের কোনও দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বিবেচনায় চারটি স্তর নির্ধারণ করেছে। এই স্তরের চতুর্থ তালিকা হচ্ছে ‘সংক্রমণ খুবই উচ্চ’। যে স্তরে আছে বাংলাদেশও।
খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যত লম্বা সময় লকডাউন হবে, তত বেশি সেটা কার্যকর হবে। ভালো একটা লকডাউন দিলে সংক্রমণের হার কমে যাবে। ফলে এখন ঘরবন্দি হয়ে থাকার বিকল্প নেই ।’
সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে মানুষকে ঘরে রাখার বেঁধে ফেলার মতো ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেখানে কাঁচাবাজার, হোটেল খোলা রাখলে মানুষ ঘরে থাকবে না মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ বিধিনিষেধ দিয়ে সংক্রমণের প্রবাহ রোধ করা যাবে না। যেহেতু একদম ঢালাওভবে সবকিছু বন্ধ করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে ক্লাস্টার লকডাউন দেওয়া।
সেটিও যখন করা যাচ্ছে না তখন নাগরিকদের উচিত নিজের ভালটা বুঝতে শেখা। নিজে সচেতন না হওয়া মানে পরিবারের সদস্যদের, প্রতিবেশীদের বিপদে ফেলা এই বিষয়টি বুঝে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না ঘুরার পরামর্শ দেন হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন ভাইরাসের কারণে এত বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে যে টানা কিছুদিন ঘরে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বাইরে বের না হওয়ার বিকল্প নেই।