X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেন সেই গোলাপী

শরীয়তপুর সংবাদদাতা
১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৭আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৭

অবশেষে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেন ডামুড্যা জয়ন্তী নদীতে নৌকায় আশ্রয় নেওয়া সেই গোলাপী বেগম। বুধবার বিকালে ইউএনও মর্তুজা আল মুঈদ ও উপজেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থায় তার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়েছে।

গোলাপী বেগমের বাড়ি ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের মৃত মো. আশ্রাফ আলীর স্ত্রী। তার বয়স ৮৭ বছর পেরিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু বুধবারের আগে তার নাম বয়স্ক ভাতার তালিকায় ওঠেনি।

সমাজ সেবা কার্যলয়ের তথ্য বলছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীর জন্য বয়স ৬২ বছর ও পুরুষের জন্য ৬৫ বছর হওয়া প্রয়োজন। সে হিসেবে গোলাপী বেগমের ২৫ আগে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার কথা ছিল।

আরও পড়ুন- গোলাপী এখন নৌকায়

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুঈদ জানান, ওনার (গোলাপীর) সম্পর্কে আগে কিছু জানতাম না, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার হওয়ার পর আমার নজরে আসে। এরপর তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড ও নগদ কিছু অর্থ দেওয়া হয়। শিগগিরই তাকে নতুন একটি ঘর উপহার দেওয়া হবে। ডামুড্যা উপজেলায় শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। কেউ বাদ যাবে না বয়স্ক ভাতা সুবিধা থেকে। কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, আমাদের জানালে তাকে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।

এর আগে ১০ এপ্রিল  ‘গোলাপী এখন নৌকায়’ শিরোনামে অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজটি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান ও ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসে। প্রশাসনের উদ্যোগে তিনি দ্রুত বয়স্কভাতার কার্ড ও নগদ অর্থ পেলেন। শিগগিরই তাকে একটি পাকা ঘর উপহার দেওয়া হবে।

জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনায় না হওয়ায় ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে নৌকায় গোলাপী বেগমকে নিয়ে বসবাস করেন তার ছেলে নুরু মিয়া (৫৩)। গ্রামে একাধিক সালিশ-দরবার করে কোনও সমাধান হয়নি। নুরু মিয়া জীবিকা নির্বাহ করেন জয়ন্তী নদীতে মাছ ধরে। এতে যা রোজগার হয় তা দিয়েই মা-ছেলের চলে যায়। তবে একটু সচ্ছলতার আশার মায়ের জন্য বয়স্ক ভাতার কার্ড করাতে এলাকার গণ্যমান্যদের কাছে ঘুরেও কাজ হয়নি। তারা দুই জনই শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ভোটার। নৌকাই তাদের নিজস্ব বাসস্থান।

অবশেষে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বয়স্ক ভাতার কার্ড আর নগদ টাকা পেয়ে খুশি গোলাপী বেগম। তিনি বলেন আমার কষ্ট দেখে সাংবাদিকরা আমাকে নিয়ে নিউজ করার পর স্যারের আমাকে বয়স্ক ভাতা কার্ড দিয়েছে। এতে আমি অনেক খুশি।

নুরু মিয়া বলেন, মায়ের বয়স্ক ভাতা আর সরকারি সুযোগ সুবিধার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার আর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গেছি। কোনও সুযোগ-সুবিধা পাইনি। আজ আপনাদের মাধ্যমে আমার মায়ের একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড হলো, এতো আমি অনেক খুশি। যদি একটি ঘর পেতাম তাহলে মাকে নিয়ে শেষ জীবনে সেখানে একটু কাটাতে পারতাম।

ডামুড্যা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ওবায়দুর রহমান বলেন, গোলাপী বেগমের ব্যাপারে আগে জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জেনে তার খোঁজ খবর নিয়ে ইউএনও স্যারের নির্দেশে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ডটি দেওয়া হয়েছে।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম