সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন আজ। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় রাজপথে মানুষ নেই বললেই চলে। রাজধানীর চেকপোস্টগুলোতে অলস সময় পারছেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিক নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের উপস্থিত ছিল হাতেগোনা। দু’চারটি পণ্যবাহী যানবাহন দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল খুবই কম। যে কারণে পুলিশের কাজও ছিল না।
অধিকাংশ পুলিশকে চেকপোস্টের পাশে চেয়ারে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে কোথাও কোথাও যানবাহন দেখে সন্দেহ হলে চালকদের সঙ্গে জেরাও করেছেন তারা। নগরীর বিভিন্ন সড়ক মোড় পরিদর্শন করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকালে খিলগাঁও রেলগেটে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যরা এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। অন্যদিন এই স্থানটিতে কড়াকড়ি থাকলেও আজ তার প্রয়োজন হয়নি। দুই-চারটি রিকশা চলাচল করলেও অন্যান্য যানবাহন ছিল খুবই কম। পথচারীও ছিল না তেমন।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আরিফ উদ্দিন বলেন, যানবাহন থাকলে আমাদের দায়িত্বও বেড়ে যায়। আজ যেহেতু শুক্রবার, সরকারি ছুটির দিন, তাই মানুষের উপস্থিতিও নেই। তবে আমরা মানুষের জটলা দেখলে সরিয়ে দিচ্ছি। অকরণে বাসা থেকে বের হলে ফিরিয়ে দিচ্ছি।
একই চিত্র দেখা গেছে রাজারবাগ মোড়ে। সেখানে তিনটি চেকপোস্ট রয়েছে। একটি চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলকে দাঁড় করাতে দেখা গেছে। অন্য একটিতে কোনও পুলিশকে দেখা যায়নি। তার পাশের পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পাশের গাছের নিচে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
ফকিরাপুল ও কাকরাইলে চেকপোস্টেও কোনও পুলিশ সেখা যায়নি। শান্তিনগর চেকপোস্টে আগত যানবাহনকে দাঁড়িয়ে রেখে চেক করতে দেখা গেছে। মালিবাগ মোড়েও পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মালিবাগ রেলগেট এলাকায় কোনও চেক পোস্ট নেই।
একই সময়ে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, এলিফ্যান্ড রোড, শাহবাগসহ অন্যান্য চেকপোস্ট গুলোতে কোনও পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। দুপুর পর্যন্ত এসব এলাকায় রজপথে ছিল না কোনও যানবাহনও।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও শাহেদ শফিক।