৭০ থেকে ৯০ সাল—অভিনয়ে তুমুল ব্যস্ত ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ওয়াসিম। বিশেষ করে প্রথম দুই দশকে দাপুটে নায়ক হিসেবে পর্দা কাঁপিয়েছেন। আমৃত্যু দুটি ইচ্ছে পূরণ করতে চেয়েছেন এই নায়ক। যার একটি শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ হয়েই থেকে গেলো।
চেয়েছিলেন, অভিনয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বিনোদিত করতে। মানুষের ভালোবাসা প্রমাণ করেছে এই ইচ্ছেটা সফলভাবেই পূরণ করেছেন তিনি। তবে আরও একটি চাওয়া ছিল। কিন্তু সেটা পাননি। পাননি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের কোনও স্বীকৃতি।
আজ (১৮ এপ্রিল) ওয়াসিমের দাফনের আগে কথাগুলো বলেন তার ছেলে ব্যারিস্টার ফরদুন।
তিনি বলেন, ‘মানুষ মারা যাওয়ার পর হয়তো তিন-চার কলামে বড় বড় সংবাদ ছাপা হয়। সবাই শোক প্রকাশ করেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে যদি তাকে সঠিক সম্মান দেওয়া হয়, তাহলে সে আনন্দ পায়। এ দেশের মানুষ আমার বাবাকে যে সম্মান দিয়েছেন তা ভোলার নয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু পাননি। বাবার দুটি ইচ্ছে ছিল। মানুষের ভালোবাসা আর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ভালোবাসা পেলেও স্বীকৃতির বিষয়টি রয়ে গেলো আক্ষেপ হয়ে।’
ওয়াসিমের এই ব্যারিস্টার পুত্র আরও বলেন, ‘‘বাবা ১৯৭৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোনীত ছিলেন। ‘ঈমান’ ছবির জন্য এ পুরস্কার তার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাকে সেটা দেওয়া হয়নি। এমনকি সেবার সেরা অভিনেতার ক্যাটাগরিই বাতিল করা হয়। পুরস্কার না পাওয়ার এ আক্ষেপ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিল বাবার।’’
ওয়াসিম তার ক্যারিয়ারে দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। যার বেশিরভাগই ছিল হিট। তবে এগুলোর জন্য পাননি কোনও রাষ্ট্রীয় সম্মান।
উল্লেখ্য, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার (১৮ এপ্রিল) দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ওয়াসিম। রবিবার বাদ জোহর তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।