অর্থমন্ত্রীর জামাতা দিলশাদ হোসেন (৪৬) যুক্তরাজ্যে কীভাবে মারা গেছেন তা এখনেও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, ময়নাতদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, তদন্ত করে এ ব্যাপারে কোনও তথ্য পেলে তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে জানাবেন।
দিলশাদ হোসেন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ভাগ্নে। অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের বড় মেয়ে কাশফি কামালের স্বামী। লন্ডনের অদূরে ওয়েব্রিজ এলাকার একটি বাড়িতে তারা থাকতেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
সোমবার বিকালে ওই বাড়িটিতে সরেজমিন গেলে দেখা যায় দোতলা বাড়িটির গ্যারেজসহ পুরোপুরি সিটিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন।
এ বিষয়ে জানতে হাইকমিশনের যোগাযোগ করা হলে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ পাঠায়। সেখানে দিলশাদ হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীরে কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, করোনার মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মরহুমের মরদেহ যাতে দেশে পাঠানো যায়, সেই চেষ্টা আমরা করছি।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিস্থিতিতে লন্ডনের নিময়কানুন পালন করে মরদেহ ঢাকায় এনে দাফন করার বিষয়ে তার পরিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
ব্রিটিশ কোম্পানি হাউসের তথ্য অনুযায়ী, স্ত্রী কাশফী কামালের সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি এএএস প্রোপার্টিজ লিমিটেডের দিলশাদ হোসাইনের অংশীদারিত্ব ছিলেন। তবে কোম্পানিটি ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর ইনকরপোরেট করলেও ২০১৮ সালের ২০ মার্চ ব্রিটিশ কোম্পানি হাউসে বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।