নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় তিন তলা ভবনের ফ্ল্যাট বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসন এবং তিতাস গ্যাস থেকে গঠিত পৃথক দুই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
প্রথমে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা প্রশাসনের গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তাদের পর ঘটনাস্থলে যান তিতাস কর্তৃপক্ষ গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি দল। পৃথক তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ সময় বাড়িটির মালিক, ভাড়াটিয়া এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– তিতাসের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (অপারেশন) অতিরিক্ত দায়িত্ব শফিকুল ইসলাম খান, কমিটির সদস্য নরসিংদী আঞ্চলিক অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব ও ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন। অজিত চন্দ্র দেব বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।’
অপরদিকে জেলা প্রশাসন থেকে গঠন করা সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার বলেন, ‘পশ্চিম তল্লায় একটি ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাটে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই আমরা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবো। প্রথমদিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, আহত এবং আহতদের উদ্ধার করে যারা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এমন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ যারা বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, দগ্ধ হওয়া এক নারীর আজ মৃত্যু হয়েছে, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম।
গত ২৩ এপ্রিল ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা এলাকায় তিন তলা একটি ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটের ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে নির্গত গ্যাস বিস্ফোরণে এক শিশুসহ দুটি পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শিশুসহ ছয় জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে রবিবার সকালে একজনের মৃত্যু হয়।