X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোথাও নেই কোনও নিয়ম

শাহেদ শফিক
০৩ মে ২০২১, ০৩:১৬আপডেট : ০৪ মে ২০২১, ০৪:১৪

সারা দেশে চলছে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর’ লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহন চালু দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করছে পরিবহন শ্রমিকরা। কোথাও নেই কোনও নিয়ম রীতি। ঘোষণায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। 

রাজধানীর বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে জীবন-জীবিকা সচল এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দোকানপাট, শপিং মল, কলকারখানা, অফিস আদালতে কঠোরতায় শিথিলতা আনা হয়। তবে শুধু চলছে না গণপরিবহন বাস। এর মধ্যেই সংক্রমণ বেড়েই চলছে। কিন্তু মানুষের মাঝে এখনও সেই সতর্কতা আসেনি। মাস্কও পরছে না অধিকাংশ লোকই।

দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও এখনো বিপদ কাটেনি। মহামারির আরও ভয়াবহ রূপ ধারণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও হেলাফেলায় চলছে নগর জীবন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নেই কোনও নিয়মকানুন।

কোথাও নেই কোনও নিয়ম কঠোর লকডাউনের মধ্যেও চালু করে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট। সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে। কিন্তু সেই শর্ত মানছে না কেউ। সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে এসব দোকানপাট-শপিং মল। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি।

নগরীর কাঁচাবাজারগুলোর চিত্রও একই। বিধিনিষেধ অনুযায়ী কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয় করতে হবে। কিন্তু নগরীর কোনও দোকানপাট উন্মুক্তস্থানে স্থানান্তর করেনি দুই সিটি করপোরেশন। গাদাগাদি করেই কাঁচাবাজারগুলো চলছে। বেশিরভাগ বাজারেই সাধারণ মানুষকে করোনা ঠেকানোর অন্যতম হাতিয়ার দূরত্ববিধি ও মাস্ক পরে চলাচল করতে দেখা যায়নি।

কোথাও নেই কোনও নিয়ম সকালে কাওরান বাজার কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গাদাগাদি করেই কেনাকাটা করছেন নগরবাসী। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি। তবে কিছু কিছু ক্রেতাদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও দোকানিদের মুখে তেমন একটা দেখা যায়নি।

নগরীর শপিংমল, অফিস আদালতগুলোতে এক সময় জীবাণুনাশক মেশিন দেখা যেতো। কিন্তু এখন তাও নেই। কিছু কিছু মার্কেটে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্প্রে করতে দেখা গেলেও সিংহভাগ দোকানপাট তা মানছে না। উন্মুক্তভাবেই চলছে বেচাবিক্রি। যেন তদারকি করার মতোও কেই নেই।

কোথাও নেই কোনও নিয়ম ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সভাপতি দুই মেয়র। কিন্তু চলমান লকডাউনে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের কোনও কার্যক্রম দেখা যায়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঝেমধ্যে কয়েকটি ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

মাস্ক নেই দোকানিদের মুখে অপরদিকে উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

/এফএএন/
সম্পর্কিত
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
তাপ কমাতে সড়কে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের মেয়র তাপসের হুঁশিয়ারি
সর্বশেষ খবর
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা