রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার (৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া, সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানি, আবার কোথাও তীব্র গতির বাতাসের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। দমকা বাতাসে কেঁপে উঠছে বাসাবাড়ির জানালার কাচ। রাতে অনেকে ঘুমিয়ে পড়লেও বাতাসের ভয়ঙ্কর শনশন আওয়াজে ভেঙে যায় ঘুম। রাস্তায় থাকা মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রবিবার (২ মে) রাতের মতোই আজও কালবৈশাখী হতে পারে। শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার আশেপাশের এলাকায়গুলোতেও প্রবল বাতাস, আর বৃষ্টি হচ্ছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়।
রবিবার রাতের বৃষ্টিতেই কমে এসেছিল রাজধানীর তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত। এর প্রভাবে ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকা এবং রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। কিছু এলাকায় এখনও হচ্ছে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুরে ৪৯ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ৯, ফরিদপুরে ১৩, নিকলিতে ৩, চট্টগ্রামে ৮, রাঙামাটিতে ১৬, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও ফেনীতে ১, রংপুর, মাইজদিকোর্ট ও সিলেটে ৭, শ্রীমঙ্গলে ৩০, সৈয়দপুরে ১৮, রাজারহাটে ৩৯ মিলিমিটার এবং গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, চুয়াডাঙ্গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবারের তুলনায় তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমেছে প্রায় সব বিভাগেই। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় সোমবার ৩৪ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ৩২ দশমিক ৮, সিলেটে ৩০ দশনিক ৭, রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ২, রংপুরে ৩১, খুলনায় ৩৫ দশমিক ২ এবং বরিশালে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।