করোনাভাইরাস তাড়ানোর জন্য কয়েক হাজার নারী পুজো দিলেন স্থানীয় এক মন্দিরে। শুধু পুজো দেওয়াই নয়, পুজো দিতে যাওয়ার সময় বিনা মাস্কে সামাজিক দুরত্ব ভুলে রীতিমতো শোভাযাত্রা করে মন্দিরে পৌঁছান সবাই। এই শোভাযাত্রার ভিডিও ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ৩ মে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীকে করোনামুক্ত করতে গুজরাটের আহমেদাবাদের নবপুরার সানন্দ তালুকের গ্রামের হাজারো নারী পুজো দিতে যান স্থানীয় বালিয়াদেব মন্দিরে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজছে, পিছনে মাথায় একটি করে কলসি নিয়ে হেঁটে চলেছেন গ্রামের নারীরা। এই পানি ভর্তি কলসি মাথায় নিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তের একটি মন্দিরে পৌঁছান তারা।
ঘটনার শেষ এখানেই হয়নি। নারীদের পাশাপাশি গ্রামের কিছু পুরুষকেও দেখা গিয়েছে মন্দিরের চূড়ায় পৌঁছে পানি ঢালতে। তবে সেদিনের এই শোভাযাত্রার কথা প্রথম অবস্থাতেই জানাজানি হয়নি। কেউ উৎসবের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর বুধবার তা প্রশাসনের নজরে আসে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেদিনের শোভাযাত্রায় যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের কারও মুখে মাস্ক ছিল না, ছিল না নিজেদের মধ্যে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব। ফলে এলাকায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঘটনাস্থল থেকে মিউজিক সিস্টেম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গেছে, পঞ্চায়েত প্রধান গাফাভাই ঠাকুর এই আয়োজন করেছিলেন।
বুধবারেই গ্রামে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান গাফাভাই ঠাকুরসহ ২৩ জনকে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বালিয়াদেব মন্দিরে পানি ঢাললে করোনাভাইরাস তাড়ানো যাবে বিশ্বাস করে গ্রামবাসীরা এই ধর্মীয় শোভাযাত্রায় জড়ো হয়েছিলেন।
সানান্দ এলাকার উপ-পুলিশ সুপার কেটি কামারিয়া বলেন, পানির কলসি নিয়ে কয়েক হাজার নারী জড়ো হয়েছিলেন। ওই দিনই পুলিশ গ্রামে হাজির হয় এবং ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কামারিয়া আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে করোনা মহামারির বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গুজরাটে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার রাজ্যটিতে রাতের কারফিউ জারি করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া ১২ মে পর্যন্ত লকডাউনের মতোই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ২৯টি শহরে।সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, নিউজ ১৮
કોરોના દૂર થાય તે માટે બળિયાદેવની બાધા પુરી કરવા સાણંદના નિધરાડ અને નવાપુરામાં લોકો ટોળે વળ્યાં. પોલીસે DJ વાળા પર કાયદેસરની કાર્યવાહી કરી. @SPAmdRural @CollectorAhd તમારી કોઈ જવાબદારી નહોંતી? આ પ્રકારની અંધશ્રદ્ધા દૂર કરવાના પ્રયાસ કરો, લોકોને મંદિરોની જગ્યાએ શાળા તરફ લઈ જાવ. pic.twitter.com/40tEEAHYLA
— Hitendra Pithadiya