শনিবার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শুক্রবার (৭ মে) দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিভূ। তিনি মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় রয়েছে তাঁর অবাধ বিচরণ। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীতস্রষ্টা, চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং দার্শনিক হিসেবেও বিখ্যাত। সর্বোপরি, বাঙালি জাতীয়তাবোধের প্রধান রূপকারও তিনি।
অন্যদিকে বিশ্বকবিকে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। বাংলা ও বাঙালির অহংকার। তিনি জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। প্রতিভা ও শ্রমের যুগলবন্দির সম্মিলনে তিনি অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে করেছেন ঐশ্বর্যমণ্ডিত। আবহমান বাংলার রূপ যেমন তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিতে ভাস্বর হয়েছে, তেমনই মানবতাবাদী বাণী তাঁর সাহিত্যকে দিয়েছে অতুলনীয় মহিমা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি সম্মান জানিয়ে সিরাজগঞ্জে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে কালোত্তীর্ণ ও কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ এবং তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’র ১৬০তম জন্মবার্ষিকী’র সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।