শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকে কেন্দ্র করে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চলছিল ক্রিকেটারদের অনুশীলন। এক সপ্তাহ প্রথম দফার অনুশীলনের পর কাল থেকে ঈদের ছুটি পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। এক সপ্তাহ ছুটি কাটানোর পর আগামী ১৮ মে শুরু হবে দ্বিতীয় দফার অনুশীলন।
রবিবার শেষ দিনের অনুশীলনে ছিল প্রায় পুরো দলই। হোম কোয়ারেন্টিন শেষে মাঠে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কা ফেরত ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। হোম অব ক্রিকেটে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেছেন ঘণ্টাখানেকের মতো।
অনুশীলনের প্রথম দিন থেকে মাঠে ছিলেন ১৩ ক্রিকেটার। রবিবার তাদের সঙ্গে মুশফিক-লিটনসহ শ্রীলঙ্কা সফরের ৬ ক্রিকেটার যোগ দিয়েছেন। মূলত তাদের জন্য ঐচ্ছিক অনুশীলন হওয়াতে মাঠে দেখা যায়নি তামিম ইকবাল-শরিফুল ইসলামদের। সাকিব-মোস্তাফিজ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকায় অনুশীলনে অংশ নিতে পারেননি। ঈদের পর অবশ্য বাকিদের নিয়েই অনুশীলন শুরু করবে বাংলাদেশ।
রবিবার যারা অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন তাদের ফিল্ডিংয়ের ওপর জোড় দেওয়া হয়েছিল। কারণ নিউজিল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা সফরে ফিল্ডিংই বেশি ভুগিয়েছে। ঘরের মাঠে লঙ্কান সিরিজকে সামনে রেখে তাই সতর্ক ক্রিকেটাররা।
রবিবারের অনুশীলন নিয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘ফিল্ডিং তো আমাদের নিয়মিত চর্চার একটা বিষয়। নিজের ইচ্ছারও ব্যাপার আছে যে আমি কতটুকু কষ্ট করতে পারি। ফিল্ডিংতো প্রতিদিনই হবে। তবে আমার কাছে মনে হয় মানসিক ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি তারা চেষ্টা করছে, ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছে।’
সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা। ঢাকায় ফিরেই সফরকারীরা পালন করবে তিনদিনের রুম কোয়ারেন্টিন। এর পর ১৯ মে থেকে তারা অনুশীলনে ফিরতে পারবে। ১৯ ও ২০ মে মিরপুরের একাডেমিতে দুই দিনের অনুশীলন শেষে লঙ্কানরা বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতিমূলক ওয়ানডে খেলবে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুই দলের আসল লড়াই শুরু হবে ২৩ মে থেকে। ২৫ ও ২৮ মে সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডেও একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক দল: তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম।