শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ঈদযাত্রা শবযাত্রায় পরিণত হোক সেটা কারওরই কাম্য নয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঈদে বাড়ি যাওয়া, এমনকি শপিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির টেলিমেডিসিন সেবা উদ্বোধনকালে রবিবার (৯ মে) তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এসময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আজ থেকে এই সেবা চালু করে। কমিটির উদ্যোগে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে দেশের ১৫০ জন চিকিৎসক টেলিফোনে মানুষকে চিকিৎসা দেবেন। আগামী মঙ্গলবার থেকে ০১৯৫৮৬২৯৭০০ থেকে ০১৯৫৮৬২৯৭৯৯ পর্যন্ত মোট ১০০টি নাম্বারে যেকোনও সময় ফোন করে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের এই সময়ে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে ছিলাম। এখনও অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছি। অবস্থা খারাপ হয়েছে। গত জানুয়ারিতে সমুদ্র সৈকতসহ উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থল এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড়ের কারণে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে। এখন ঈদ উপলক্ষে মানুষের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়েও প্রচুর ভিড় করছে মানুষ। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই মাস্ক পরছেন না। কিছু ক্ষেত্রে নিজেরা পরলেও সঙ্গে থাকা বাচ্চাদের মাস্ক পরাচ্ছেন না। ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। সে কারণেই সবাইকে সতর্ক হতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ঈদে বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা যাত্রাপথে মানুষের ভিড় করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটাতে পারে। ঈদযাত্রা হয়ে উঠতে পারে শবযাত্রা। কিন্তু সেটা আমাদের কারওরই কাম্য নয়। তাই নিজেদের সংযত করে বাড়ি যাওয়া ও কেনাকাটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দীপু মনি বলেন, পাশের দেশ ভারতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আপনাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। এসময় যেমন চিকিৎসার সংকট দেখা দেয় তেমনি হাসপাতালেও সেবার অপ্রতুলতা তৈরি হয়। তাই নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের বন পরিবেশ উপ-কমিটির টেলিমেডিসিন সেবা সংকটকালে জনগণের জন্য অনেকটা কার্যকর এবং সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ড. সমীর কুমার সাহা ডাক্তার মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ডাক্তার নুজহাত চৌধুরীসহ বন ও পরিবেশ উপ-কমিটিতে থাকা চিকিৎসকরা।
কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভা পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।