অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সময় আটক হওয়া জাপানি সাংবাদিক ইয়োকি কিতাজুমিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। গত ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে দেশটির ‘ফেইক নিউজ’ আইনে এই ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলেছে, কিতাজুমি অভিযুক্ত হলেও জাপান সরকারের অনুরোধে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাজপথে বিক্ষোভ শুরু হলে দমন নীতি গ্রহণ করে সেনা সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রায় আটশ’ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল ইয়াঙ্গুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৫ বছর বয়সী ইয়োকি কিতাজুমিকে আটক করে মিয়ানমারের পুলিশ। তাগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারিও স্বল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়। ১৮ এপ্রিল আটকের পর তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এতে দোষী প্রমাণিত হলে তার তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারতো। তবে জাপান তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভির খবরে বলা হয়, ‘আইন ভঙ্গ করলেও জাপানের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং সহযোগিতা উন্নত করতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে আর জাপানের অনুরোধে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।’
ইয়োকি কিতাজুমি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করলেও তার পাঠানো খবর জাপানের বহু মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারকে দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা দিয়ে আসা দেশ জাপান। ইয়োকি কিতাজুমিকে মুক্তি দিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ায় জাপান সরকার। যুক্তরাজ্য সফরের সময় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমরা আটক থাকা জাপানি নাগরিকের আগাম মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো।’