X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজাদ রহমানকে নিয়ে কবীর সুমনের সৃষ্টি ‘রাগ আজাদ’

বিনোদন ডেস্ক
১৭ মে ২০২১, ১২:৩৬আপডেট : ১৭ মে ২০২১, ১৮:০০

‘আজাদ রহমান/ বাংলা খেয়াল গান/ বাংলা ভাষার গানে/ খেয়াল তাকে টানে/ থেকে গেলেন তিনি বাংলায় বহমান/ বাংলাদেশের তিনি আজাদ রহমান’- তিন তালে এই বন্দিশ গেয়ে বাংলাদেশের সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান স্মরণে নতুন রাগ সৃষ্টি করেছেন পশ্চিম বাংলার চিরচেনা সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। যিনি বাংলা খেয়াল নিয়ে বর্তমানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে সৃষ্টিতে নিমগ্ন রেখেছেন নিজেকে।

নতুন এ সৃষ্টির নাম দিয়েছেন ‘রাগ আজাদ’। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি রাগ তৈরির বিষয়ে ছোট করে বর্ণনাও যুক্ত করেছেন।

ভাষ্যটা এমন- ‘‘বাংলাদেশে যিনি বাংলা খেয়ালের প্রবর্তন করেন এবং বাংলা খেয়ালের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেন সেই আজাদ রহমানের প্রয়াণ আজ থেকে এক বছর আগে ঘটে। আজাদ রহমানের গান আমি শুনেছি, রচনা শুনেছি, তার বাংলা খেয়াল রেকর্ডে শুনেছি কিন্তু আলাপ হয়নি কোনোদিন। এ আমার সারা জীবনের আফসোস থেকে গেলো। আমার এখন ৭৩ চলছে। আমার খুব ইচ্ছে করছিল একটা রাগ আমি তাকে উৎসর্গ করি। তার নামই দেবো ‘আজাদ’।’’

সুমন আরও বলেন, ‘‘আমার এক বান্ধবী স্বপ্না এটি করতে আমাকে সাহায্য করেন। মাথায় যখন কোনও স্কেল আসে, তিনি বইপত্র ঘেঁটে বলে দেন, আদৌ এটা ইউনিক স্কেল কিনা, এই স্কেলে ইতোমধ্যে কোনও রাগ আছে কিনা! আমার মাথায় আজ একাধিক স্কেল আসে আজাদ রহমানের কথা ভেবেই। ‘সা, কোমল রে, শুদ্ধ গা, তীব্র মা, পা, কোমল ধা, শুদ্ধ নি, সা। সা, শুদ্ধ নি, কোমল ধা, পা, তীব্র মা, শুদ্ধ গা, সা। অবরোহণে রে নেই।’’

বক্তব্যের শেষটা করেন এভাবে, ‘আমি পশ্চিমবঙ্গের লোক। আমিও বাংলা খেয়ালের একজন সৈনিক। আজাদ রহমানকে আমি সালাম নমস্কার জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশি নানান ইস্যুতে বরাবরই সরব থেকেছেন জীবনমুখী গানের এই কিংবদন্তি। কখনও গানে আবার কখনও বক্তব্য দিয়ে পাশে থেকেছেন বাংলাদেশের। এবার প্রয়াত সংগীতজ্ঞকে নিয়ে সুর সৃষ্টি করলেন কবীর সুমন।

উল্লেখ্য, আজাদ রহমান গত বছরের ১৬ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। বাংলাদেশে এসে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আগমন। শাস্ত্রীয় সংগীতে দখল রাখা এই কীর্তিমানের বাংলাদেশে তার সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র বাবুল চৌধুরীর ‘আগন্তুক’। এরপর সুর করেছেন অসংখ্য গান। ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’র মতো কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন তিনি। এছাড়া শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে নিয়মিত কাজ করেছেন। তার উদ্যোগেই আট বছর ধরে বাংলা খেয়াল উৎসব হচ্ছে।

/ইউআই/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’