X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৮ মে ২০২১, ২১:৫২আপডেট : ১৮ মে ২০২১, ২২:১১

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দলের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের সঙ্গে যদি বিনয় যুক্ত হয় তাহলে দেশের মানুষ আবারও রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’ মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকালে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে।

সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছি। এতে অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে আলস্য এসেছে, এই আলস্য কাম্য নয়। মনে রাখতে হবে, বহু উন্নয়ন হয়েছে, এর সঙ্গে যদি আমাদের তরুণ কর্মীদের আস্ফালন থাকে তবে মানুষ সেই উন্নয়ন ভুলে যাবে, আমাদের পছন্দ করবে না। গত ৪০ বছর ধরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে, ২১ বছর ধরে আমাদের শুনতে হয়েছে আওয়ামী লীগ কখনও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। সেই কথা মিথ্যা প্রমাণিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।’

তথ্যমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ তারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা ষড়যন্ত্র করেছিল। এখনও যারা বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতিপক্ষ তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সে জন্য ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী ঢাকার বুকে এবং রাজশাহীতে মিজানুর রহমান মিনু আস্ফালন করেন, আবার একটা ১৫ আগস্টের ইঙ্গিত দেন। তারা যে ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে এগুলো সেটিরই বহিঃপ্রকাশ। তাই আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’

তিনি সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার সার্থকতা সেখানে– যেই পাকিস্তানিরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর বলতো বাংলাদেশ আদৌ রাষ্ট্র হিসেবে ঠিকে থাকতে পারবে কিনা, সেই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কারণ, আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছি। মানব উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে অনেক আগেই ভারতকে অতিক্রম করেছি আমরা। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জিয়াউর রহমান সরকারের বিরোধিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশে ফিরে আসার পর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের মাগফেরাত কামনায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একটি মিলাদ পড়াতে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সে সময় জিয়াউর রহমান মিলাদ পড়াতে দেননি, ৩২ নম্বরে ঢুকতেও দেননি। সেই কারণে ৩২ নম্বরের সামনের রাস্তায় বসে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল। এমনকি টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতেও যেতে দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনা যাতে দেশে আসতে না পারেন সেজন্য তৎকালীন জিয়াউর রহমানের সরকার বহু ষড়যন্ত্র করেছে। জিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা যদি এ দেশে আসে তাহলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। বহু রক্তচক্ষু ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দেশে আসা নিষ্কণ্টক ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র সামরিক ছাউনির মধ্যে বন্দি ছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই সামরিক ছাউনি থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে এনেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা নয়, বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, আলহাজ আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী, হাসান মাহমুদ হাসনি, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আলহাজ দিদারুল আলম চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি, হাজী ইউনুছ কোম্পানি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক।

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
‘চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে’
অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী
জনগণ ও নির্বাচন কমিশনকে তথ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ
সর্বশেষ খবর
ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, মিশা-ডিপজলে কুপোকাত কলি-নিপুণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, মিশা-ডিপজলে কুপোকাত কলি-নিপুণ
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া