সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আবারও পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জটিলতার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৯ মে) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একসপ্তাহ আগে হিলি বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইদ্রিস আলী ও শাহনেওয়াজ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবারো পেয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যাতে আমাদের মতো গরিব মানুষ কমদামে কিনতে পারে। এছাড়া সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমেও যাতে পেঁয়াজ দেওয়া হয় সেই দাবিও জানাচ্ছি।’
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন ও শাকিল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হতো। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। কিন্তু আইপির কারণে এক মাস ধরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কিছুদিন আগে রেলপথে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের পাশাপাশি আমদানিকারকদের গুদামেও কিছুটা ছিল। যা আমরা এতদিন সেখান থেকে কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতাম। কিন্তু সেসব পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। এজন্য দেশি পেঁয়াজের উপর চাপ বাড়ায় দাম বাড়ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যে আইপি ছিল গত ২৯ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এর পর নতুন করে আর কোন পেয়াজ আমদানির জন্য আইপি না পাওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের অনেক আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি চেয়ে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত ইস্যু হয়নি।’ পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।