গত বছর হওয়ার কথা ছিল লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেটি পেছানো হয় এই বছর। যৌথ আয়োজনে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া থাকলেও কিছুদিন আগেই কাটা পড়ে কলম্বিয়ার নাম। এবার দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবল) জানালো, টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা যাচ্ছে না আর্জেন্টিনাতেও!
অথচ মাত্র ১৩ দিন পরই টুর্নামেন্ট শুরুর সূচি ছিল। শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনাতেও টুর্নামেন্ট না হওয়ায় এখন টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে ।
১০টি দক্ষিণ আমেরিকান দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল ১৩ জুন থেকে ১০ জুলাই। এর সহ আয়োজক ছিল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। কিন্তু সহ-আয়োজক কলম্বিয়া জুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় গত ২০ মে কাটা পড়ে তাদের নাম। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কোপা আমিরকা নভেম্বরে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল লাতিন ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবলের কাছে। কিন্তু কনমেবল জানিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
অবশ্য আর্জেন্টিনার নামটি আয়োজকের খাতা থেকে বাতিল হওয়ার কোনও কারণ জানায়নি কনমেবল। তবে দেশটির করোনা পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, সেটি একটি কারণ হতে পারে বলে ভাবা হচ্ছে। মে মাসেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে সরকারকে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার দৈনিক নতুন শনাক্তের রেকর্ড ছুঁয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৬ হাজার ৬৯৩জন।
এমন পরিস্থিতিতে কনমেবল অন্য আয়োজক খুঁজছে। তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যেসব দেশ টুর্নামেন্ট আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদের প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখা হচ্ছে। ফলে নতুন আপডেট শিগগিরই জানা যাবে।’
এদিকে যেসব খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট খেলতে দক্ষিণ আমেরিকায় প্রবেশ করেছেন তারা নিজেরাও টুর্নামেন্ট হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। লুইস সুয়ারেজ শুক্রবার বলেছেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ কিন্তু আয়োজকরা টুর্নামেন্ট বাতিল করার পক্ষপাতী নন মোটেও। কারণ এর সঙ্গে আর্থিক বিষয়টি জড়িত। ব্রাজিলে ২০১৯ সালের সর্বশেষ কোপা আমেরিকা থেকে আয় হয়েছিল ১১৮ মিলিয়ন ডলার। এর ওপর এই অঞ্চলে কোপা লিবার্তাদোরেসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বার্ষিক আয়ের উৎস এই টুর্নামেন্ট।