বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ শিক্ষার্থীদের প্রতি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রকে আরও স্পষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করেছে জোনায়েদ সাকি নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন। দলটি জানিয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫% ভ্যাট আরোপ করে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের ধারাবাহিকতাকেই অব্যাহত রাখা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) রাজধানীর হাতিরপুলের কেন্দ্রীয় কার্যযালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিখিত বক্তব্যে এসব অবস্থান তুলে ধরে গণসংহতি। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
গণসংহতির বক্তব্যে বলা হয়েছে, করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম সামনে আর কতোটা বাধাগ্রস্ত হবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কাজেই সরাসরি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেয়া বা পরীক্ষা নেয়ার জন্য সামনের দিনেও ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণে যে ধরনের মনোযোগ দরকার তা বাজেটে দেখা যাচ্ছে না।
সংগঠনের অভিযোগ, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়ও শিক্ষার ডিজিটাল কার্যযক্রমের বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বাজেট নিছক আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। সরকার বাজেটে কোথাও কম-বেশি বরাদ্দ বাড়িয়েছে কিম্বা কমিয়েছে। এই বরাদ্দ বাড়ানো কিম্বা কমানোর মধ্যে বাস্তবে কোনো পরিবর্তন ঘটে না।’
সাকি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য খাতে এবারও থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাই, স্বাস্থ্যখাতের কোন কোন বিষয়ে তারা অগ্রাধিকার দিবে। এই অগ্রাধিকার সুনির্দিষ্ট না থাকার ফলে ব্যয় কিভাবে হবে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকে না। ফলে বিভিন্ন ক্রয় খাত থাকে, সেখানে বিভিন্ন লবিস্ট গ্রুপ প্রকল্প নিয়ে হাজির হয় এবং সেখানে দুর্নীতির নহর বয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু প্রমুখ।