২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘নো ট্যাক্স অন এডুকেশন’। মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকাল ৪টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন প্রাইম এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আহমেদ হোসাইন দীপ্ত।
মানববন্ধনে তামিম আহমেদ তুরাগ বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর আরোপ অনৈতিক। সরকার উচ্চশিক্ষায় অংশ গ্রহণে সবার সমান সুযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কী আমাদের অপরাধ? এখানে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়তে আসে। এ জায়গায় কর আরোপ করা হলে তা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বর্তাবে।’
সজীব মিয়া বলেন, ‘প্রস্তাবিত এ বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। এ করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে মানবিকতার খাতিরে প্রণোদনা দেওয়ার কথা, সেখানে অনলাইন ক্লাস করিয়ে রীতিমতো টাকা আদায় করা হয়েছে। তারপর আবার কর আরোপ। তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা পরিবারের টাকা খরচ করে শিক্ষাকে পণ্যের মতো কিনে নিচ্ছি, কিন্তু বাজারে চাকরি নেই। এই যদি হয় দশা! তাহলে আমরা যাবো কোথায়? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কি অন্যায়? অবিলম্বে প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত কর বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিন বিজেতা বলেন, ‘বাজেট মূলত নিজেদের ঘাটতি পূরণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। সরকারের অনেক ঘাটতি রয়েছে। অনেক ঋণ রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে টেনে নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছে। নিজেদের ঘাটতি মেটাতে এ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালশের শিক্ষার্থী তামজিদ হায়দার চঞ্চল আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় ধানমন্ডির শংকরে এবং শুক্রবার (১১ জুন) বেলা ৩টায় রামপুরার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মানববন্ধন শেষে শাহবাগ থেকে একটি মিছিল নিয়ে সাকুরা পয়েন্ট হয়ে আবার শাহবাগ এসে শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা কোনও পণ্য নয়, শিক্ষা আমার অধিকার’, ‘শিক্ষা-বাণিজ্য, একসাথে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।