X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

৫২৫ কোটি টাকা পাচারের আসামি গ্রেফতার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ জুন ২০২১, ২৩:০৩আপডেট : ০৮ জুন ২০২১, ২৩:০৩

৫২৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা একাধিক মামলার আসামি সুরুজ মিয়া ওরফে বিল্লাল হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। মঙ্গলবার (৮ জুন)  রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির মাধ্যমে ওই টাকা পাচারের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ৫২৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি সুরুজ মিয়া ওরফে বিল্লাল হোসেন খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মেশিনারিজ ঘোষণায় অবৈধ মদ, সিগারেট ও টেলিভিশন আমদানির মূলহোতা সুরুজ মিয়া।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ১২টি কন্টেইনারে মিথ্যা ঘোষণায় অর্থাৎ পোল্ট্রি ফিডের ক্যাপিটাল মেশিনারি ঘোষণায় পণ্য খালাসের অপচেষ্টা হয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ও ৬ মার্চ বিপুল পরিমাণ সিগারেট, এলইডি টেলিভিশন ও ফটোকপিয়ার মেশিন ও মদসহ কন্টেইনার জব্দ করে কাস্টমস গোয়েন্দা।

হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি নামীয় প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি টাকা পাচার হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। জানা যায়, আমদানিকারকরা এর আগে ৭৮টি কন্টেইনারে মেশিনারিজ ঘোষণায় খালাস নিয়েছে। এ ঘটনায় ৮৭৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পল্টন থানায় আরও ১৪ মামলাসহ ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান চীনের জমরাজ ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ঢাকার হেব্রা ব্রানকো, শেকহার্টেক ও খিলগাওন নামে প্রতিষ্ঠান সাতটি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৩১ কন্টেইনার মেশিনারিজ পণ্য ঘোষণায় আমদানি করে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হেব্রা ব্রানকোর অস্তিত্ব কখনও ছিল না এবং এটি কখনও উৎপাদন কার্যক্রম করেনি। এতে হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি নামীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইতোপূর্বে আমদানিকৃত ৬ কন্টেইনারের ন্যায় মদ, সিগারেট ও টেলিভিশনসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি করে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেয়। যেখানে প্রায় ২৯১ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং সংগঠিত হয়েছে বলে প্রমাণ পায় গোয়েন্দারা।

এছাড়া চারটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে মেশিনারিজ পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ২৫ কন্টেইনারে পণ্য আমদানি করা হয়। যেখানে ৭টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর হতে খালাস করা হয়। যেখানে ২৩৪ কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় হেব্রা ব্রানকোর প্রতিষ্ঠানের মালিক সুরুজ মিয়া ওরফে বিল্লাল হোসেন খানের বিরুদ্ধে আরও ৭ টি মামলা দায়ের করা হয়। এভাবে মোট ১ হাজার ৫৩৯ টাকা পাচারের অভিযোগে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়।

 

/জিএম/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা