স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)। রবিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টায় পরিসংখ্যান বিভাগ এবং ১১টায় ডিভিএম অনুষদের ১৬ ব্যাচের পরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর সশরীরে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করে হাবিপ্রবি।
এদিকে দীর্ঘ সময় পর সশরীরে পরীক্ষা দিতে পারায় খুশি শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা দিতে আসা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘মাত্র দুটি ব্যবহারিক পরীক্ষা ও প্রজেক্টের জন্য অনার্সের সার্টিফিকেট ঝুলে আছে। যেকোনও মূল্যে পরীক্ষাগুলো দিয়ে দিতে চাই। কারণ করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনেক চাকরির সার্কুলার চলে যাচ্ছে। আমার বিভাগের সম্মানিত স্যার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সশরীরে পরীক্ষা কার্যক্রম চালু করার জন্য।’
সশরীরে পরীক্ষা দিতে আসা ডিভিএম অনুষদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ আন্দোলন করে পরীক্ষায় বসতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। তবে করোনার প্রকোপ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা ভয় কাজ করছে। তবুও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যাতে নিরাপদে আমার ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।’
এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সকল শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি অনেক শিক্ষার্থী মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যা সত্যিই দুঃখজনক। আমরা দু’একদিনের মধ্যেই হাবিপ্রবির স্কাউট টিমের মাধ্যমে মাস্ক পরার ব্যাপারে সকলকে উৎসাহিত করবো। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হচ্ছে।’
করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে পরীক্ষা পেছাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো নিতে। এতে করে সকলের জন্যই ভালো হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে হাবিপ্রবিতে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে গত ৩১ মে রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের সভাপতিত্বে ডিনদের এক আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
