X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

পরীমণির একটি প্রশ্ন!

রেজানুর রহমান
১৫ জুন ২০২১, ১৮:৩৭আপডেট : ১৫ জুন ২০২১, ১৮:৩৭

রেজানুর রহমান প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমার এই লেখা হয়তো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ভাবনাই আমাকে এই লেখাটির জন্য তাড়না জুগিয়েছে। বারবার নিজেকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি। নির্মম,নিষ্ঠুর অসহায়ত্ব পিছু ছাড়ছে না। একই প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যা শিখেছি তা কি ভুল শিখেছি?

প্রয়াত সাংবাদিক খোন্দকার আলী আশরাফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তাঁর সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রসঙ্গক্রমে একদিন তিনি বলেছিলেন, ‘সাংবাদিকতায় সোর্স তৈরি করাই হলো আসল কারিশমা। যার যত বেশি সোর্স সে তত বেশি নির্ভার। ঘরে বসে থাকলেও তার কাছে সংবাদ নিজেই এসে হাজির হবে। তবে হ্যাঁ, আপনি যত বিপদেই পড়েন না কেন সোর্সের পরিচয় প্রকাশ করা উচিত হবে না। তাহলে দিনে দিনে আপনি সোর্স হারাবেন। কেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে না।’

প্রিয় শিক্ষক শ্রদ্ধাভাজন সাখাওয়াৎ আলী খানের একটি কথা আজ খুব বেশি মনে পড়ছে। ক্লাসে কথায় কথায় একদিন তিনি বলেছিলেন, একটি ভালো সংবাদ তৈরির ক্ষেত্রে ভিকটিমের বক্তব্য নেওয়াটাও জরুরি। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে কোনোভাবেই যেন ভিকটিম বিব্রত না হয়। সাংবাদিকের প্রশ্নে ভিকটিম যেন অসহায় বোধ না করে।

কিন্তু আমি এ কি দেখলাম? চিত্রনায়িকা পরীমণিকে তার বাসায় ঘিরে ধরে আছেন সংবাদকর্মী বন্ধুরা। বিধ্বস্ত, বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ চেহারায় পরীমণি বসে আছেন সোফার ওপর। কাঁদছেন তিনি। সংবাদকর্মী বন্ধুরা তাকে শোভন, অশোভন নানা ধরনের প্রশ্ন করেই চলেছেন। একসঙ্গে একাধিকজন প্রশ্ন করছেন। একপর্যায়ে পরীমণি উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন– প্লিজ আপনারা আমাকে মেরে ফেলেন...।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীমণির এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার নয়, কয়েকবার ভিডিওটা দেখলাম। যতবারই দেখি ততবারই নিজেকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করাই। পরীমণির ওপর অন্যায় করা হয়েছে। আশুলিয়ার একটি ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে সহজেই অনুমেয় মানসিক ও শারীরিকভাবে তিনি কতটা বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভিকটিমের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সংবাদকর্মীদের কী করা উচিত? তার ওপর চড়াও হয়ে বক্তব্য নেওয়া উচিত নাকি তার জন্য প্রথম প্রয়োজন সহমর্মিতা! দেশসেরা একজন অভিনেত্রী প্রকাশ্যে হেনস্তার শিকার হলেন এবং এ ব্যাপারে সহায়তা পাওয়ার আশায় রাতে সংবাদকর্মীদের বাসায় ডেকে নিলেন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ কেমন হওয়ার হওয়ার কথা? ভিকটিম যাতে আস্থা পায় সেরকমই একটা পরিবেশ তৈরি হওয়া উচিত তো নাকি? কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেলো তার উল্টোটা।

সংবাদকর্মী বন্ধুদের ডেকে এনে পরীমণি যেন অন্যায় করেছেন। আর তাই তাকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে এমন পরিবেশ তৈরি করা হলো, পরীমণি শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে বলতে বাধ্য হলেন– প্লিজ, আপনারা আমাকে মেরে ফেলেন!

প্রিয় পাঠক, আবারও ক্ষমা চাইছি। বিশেষ করে সংবাদকর্মী বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়েই বলছি, সাংবাদিকতার জ্ঞান দেওয়ার জন্য আমার এই লেখা নয়। কারণ, আমি সাংবাদিকতার শিক্ষক নই। একজন সংবাদকর্মী মাত্র। আমার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বিবেকের তাড়নায় এই লেখাটি লিখছি! একটা প্রশ্ন বারবার মনের ভেতর উঁকি দিচ্ছে। এই যে ভিকটিম পরীমণিকে আমরা যেভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলাম তা কি সাংবাদিকতার নীতিমালার মধ্যে পড়ে? পরীমণির ডাকা ওই সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওতে একজন সংবাদকর্মী বন্ধুর কণ্ঠ শোনা গেলো। তিনি বিরক্ত কণ্ঠে বলছেন, আপা ঘটনাটা একটু গুছিয়ে বলেন। তা না হলে আমরা তো নিউজ করতে পারবো না!

অবাক হলাম তার কণ্ঠ শুনে! যে ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার হতে যাচ্ছিল, যাকে মেরে ফেলরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাকেই কিনা ঘটনা গুছিয়ে বলতে হবে। এটা কি আদৌ সম্ভব? ভিকটিমকেই যদি সবকিছু গুছিয়ে বলতে হয় তাহলে সাংবাদিকদের কাজ কী? এত বড় একটা ঘটনা। আশা করেছিলাম যে ক্লাবে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানে সংবাদকর্মীরা ছুটে যাবেন। গভীর রাতে একটি ক্লাবে পরীমণি কেনই বা গেলেন? এ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তুলে ধরবেন, ভেতরের খবর প্রকাশ হবে।

কিন্তু পরীমণির ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত সেরকম অনুসন্ধানী কোনও প্রতিবেদন কোথাও চোখে পড়েনি। প্রশ্নটা কি তাহলে এসেই যায় না। পরীমণি যদি মুখ না খুলতেন তাহলে জঘন্য, নিষ্ঠুর এই অপরাধের ঘটনা কি আড়ালেই থেকে যেত?

এবার বিনোদন সাংবাদিকতা নিয়ে কিছু কথা বলি। পরীমণির ওই সংবাদ সম্মেলনে যারা সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিনোদন সাংবাদিকতায় জড়িত। এই দেশে বিনোদন সাংবাদিকতার একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত অতীত আছে! প্রয়াত গোলাম সারওয়ার, আহমেদ জামান চৌধুরী (আজা চৌ) ছিলেন মূলধারার পাশাপাশি বিনোদন সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র। অনুপম হায়াৎ,চিন্ময় মুৎসুদ্দি, অরুণ চৌধুরীর পাশাপাশি প্রয়াত আওলাদ হোসেনসহ আরও অনেক নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক বিনোদন সাংবাদিকতাকে উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিনোদন সাংবাদিকতা বোধকরি কিছুটা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। প্রায় দুই বছর আগের ঘটনা। দেশের নামকরা একজন চলচ্চিত্র পরিচালক মারা গেছেন। এফডিসিতে তার মরদেহ আনা হয়েছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যম থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংবাদকর্মী এসেছেন। অনেকে লাইভ সংবাদ প্রচার করছেন। হঠাৎ একজন তরুণ আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। হাত তুলে সালাম দিলো। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের নাম বললো। সেখানে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে। তার চেহারায় কাচুমাচু ভঙ্গি। কিছু একটা বলতে চায়। জিজ্ঞেস করলাম– কিছু বলবে?

এবার সে আরও কাচুমাচু... আমি তো কালচারাল বিট করি না। আমাদের লোক শট। তাই আমাকে এখানে পাঠানো হয়েছে। আমি কাউকেই চিনি না। বিশিষ্টজনদের মধ্যে কে কে এসেছেন তাদের নামটা একটু বলবেন! ইন্টারভিউ করবো! ওই সংবাদকর্মী বন্ধুর কথা শুনে আমি তো অবাক! বিনোদন সাংবাদিকতা না করুক, একজন শিক্ষিত সচেতন তরুণ হিসেবে তার তো ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, ফারুক, আলমগীর, কবরী, চম্পা, সুচন্দা, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, এদের তো চেনার কথা। এদের মধ্যে সবাই সেদিন এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন। অথচ ওই সাংবাদিক বন্ধু কাউকেই চেনে না! এই দায়টা কার?

আমার ব্যক্তিগত ধারণা। দেশে এখন ঘরে ঘরে সাংবাদিক তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে অনলাইন পোর্টালের নাম করে যে কেউ সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে ফোকাস করছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতারও কোনও প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে হলো ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেললাম। মোবাইল সঙ্গে নিয়ে ঘুরছি আর সাংবাদিকতা করছি। চলমান সাংবাদিক। কী প্রচার করবো,কেন প্রচার করবো এ সম্পর্কে অনেকের কোনও ধারণা নাই। যেকোনও মূল্যে নিউজের ভিউ বাড়ানোই হলো আসল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে কোনও অনুষ্ঠান অথবা সংবাদ সম্মেলনে এরাই অবাধে ঢুকে যাচ্ছে। বিতর্কিত প্রশ্ন করে নিজেদের ফোকাস বাড়াতে নিরন্তর চেষ্টা থাকে এদের। মূলত এদের কারণেই সাংবাদিকতার মূল ভিত্তিও মাঝে মাঝে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে।

ইউটিউব চ্যানেলভিত্তিক সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের অনেকের মূল কাজই হলো যেকোনও মূল্যে ভিউ বাড়ানো। সেজন্য যেকোনও ঘটনার অন্ধকার দিকটার প্রতিই তাদের ফোকাস থাকে বেশি।

একটা ছোট্ট উদাহরণ। নোবেল ম্যান নামে একজন উঠতি গায়ক আছে এই দেশে। পাশের দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে রিয়েলিটি শো থেকে উঠে এসেছে সে। শুরুর দিকে দেশের মানুষ তার প্রতি অনেক মায়া ছড়িয়েছিল। নোবেলকে পছন্দ করেছিল। কিন্তু এই উঠতি গায়ক কোনও শিষ্টাচার মানেন না ইদানীং। দেশবরেণ্য অনেক শিল্পীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন যখন তখন। আর সাথে সাথেই প্রচারমাধ্যম তাকে নিয়ে হইচই শুরু করে। সাংবাদিকতার এই প্রবণতা খুবই ক্ষতিকর। ভুল মানুষকে ফোকাস করা কখনোই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার লক্ষ্য হতে পারে না। অথচ লক্ষ করেছি গত কয়েক মাসে উঠতি গায়ক নোবেল ম্যান যেভাবে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তার ধারে কাছেও ছিলেন না দেশের লিজেন্ড শিল্পীরা!

কিংবদন্তি তারকা রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, সৈয়দ আব্দুল হাদী, কুমার বিশ্বজিৎ এদের নিয়ে কোনও প্রচারমাধ্যমে খুব একটা সংবাদ দেখি না। কিন্তু নোবেল ম্যানের মতো উঠতি যারা তাদের নিয়ে ঠিকই একের পর এক সংবাদ হচ্ছে। এই সাংবাদিকতা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে জানি না! কলকাতার এক চিত্রনায়িকা খুবই আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। স্বামী থাকার পরও তিনি অন্য একজনের সঙ্গে লিভ টুগেদার করেন এবং এ কথা তিনি বেশ গর্বের সঙ্গে বলেও বেড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের বিনোদন জগতে তার এই সংবাদটিও বেশ আলোচিত। অনেক পত্রিকা ও নিউজ চ্যানেল এবং নিউজপোর্টালে ফলাও করে ওই চিত্রনায়িকার লিভ টুগেদার কৃতিত্ব প্রচার ও প্রকাশ করা হচ্ছে। এ ধরনের সাংবাদিকতার অর্থ কী? প্রশ্ন করেছিলাম এক সাংবাদিক বন্ধুকে। তিনি মৃদু হেসে জবাব দিলেন এভাবে– আরে ভাই সাংবাদিকতায় এখন তো চলছে ভিউ বাড়ানোর যুগ। পজিটিভ কথায় ভিউ বাড়ে না। তাই যেকোনও ঘটনায় তথাকথিত সংবাদকর্মীরা নেগেটিভটাই আগে খুঁজতে থাকেন! পরীমণির ওই সংবাদ সম্মেলনেও নেগেটিভ কিছু খোঁজার তৎপরতা ছিল কারও কারও ক্ষেত্রে। সে কারণে একজন তারকা সমান তালে কেঁদে চলার পরও শোভন-অশোভন নানা প্রশ্ন করা হয়েছে তাকে। উদ্দেশ্য একটাই, কোনোভাবে যদি পরীর মুখ থেকে একটা বেফাঁস কথা বের করে নেওয়া যায়। যদিও এ সময় মূলধারার সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন সংবাদকর্মীর অসহায়ত্ব আমাকে কষ্ট দিয়েছে। তারা যেন এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

লেখাটি শেষ করি। আবারও বলি, কাউকে দুঃখ দেওয়া অথবা কটাক্ষ করার জন্য আমার আজকের এই লেখা নয়। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যেকোনও ঘটনার ভিকটিম সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা বোধ করে সাংবাদিকদের কাছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে। আমরা কি সে ক্ষেত্রে একটু দূরে সরে যাচ্ছি? পরীমণির সংবাদ সম্মেলনে তার একটি বক্তব্যের প্রতি বিশেষভাবে জোর দিতে চাই। অসহায়, বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত সিনেমা তারকা পরীমণি কাঁদতে কাঁদতে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, এই যে আপনারা এতজন, এত ক্যামেরা তাক করে আমাকে নানান প্রশ্ন করে চলেছেন... আপনারা কি তাদের প্রতি এভাবেই ক্যামেরা তাক করতে পারবেন, যারা আজ আমাকে এই অসহায় পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছেন? পারবেন?

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক: আনন্দ আলো।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
দুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিদুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ